পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বপ্ন না কি ? একটা আজগুবী অসম্ভব আশঙ্কা ; কিন্তু ভূতের তয়ের মত এই চিন্তা ৰুিছতেই মন হইতে তাড়ী ইতে পারিতেছিলাম না । এই সময় রসিকদাদাকে আসিতে দেখিয়া মনট ধূসী হইয়া উঠিল । আসিয়াই তিনি বলিলেন, “এই গুতদিনে এমন গোমসামুখ দেখছি কেন, ভায়া ? তা আমারও কিন্তু সে দিন মনটায় ভারী ভাবনা ধ’রে গিয়েছিল ?” -সে কোনদিন, রসিকদtঙ্গ " “এই তোমারই মত যে দিন সাজসজ্জা ক’রে বসিয়ে রেখেছিল । তার পর কিন্তু বাসরঘরে যেমনি কানের উপর টান পড়লো, অমনি প্রাণের গান আপনিই খুলে গেল ।”

  • আমার ত দাদা, গান-টান আসে না ; তুমি আমায় একটু তালিম দিয়ে দাও না ।”

“ত বেশ ত, আমি সে দিন যে গানটা গেয়েছিলুম, সেই গানটাই শিখে নাও* বলিয়া রসিকদাদা সুর ভ জিতে আরম্ভ করিলেন - “ত ন ন না, আছা হা হা, উচ্ছ হু হু । মরি মরি উন্থ উহু, কুহু কুহু মুহু মুহু কোয়েল বোলে । বায়স বুলায় চঞ্চু বয়সী-গলে । হয়ে রে হায় ] প্রেয়সী বলে, আমি আজ বাপ দিব জলে । ঝলকে উঠবে চলকানে ঢেউ, জানবে না গো শুনবে না কেউ, তলিয়ে পড়বে চুপে চুপে অতল জলে। হায় রে হায় । প্রেয়সী বলে, আমি আজ প্রাণ ত্যজিৰ যমুনা-জলে ।” আমার কিন্তু গানটি শুনিয়া হাসি আসিল না ; যে অন্ধকার মন হইতে মিলাইয়া গিয়াছিল, তাহ আবার ঘনাইয়া আসিল ; মুখে বলিলাম, বেশ রসিকদাদা, বেশ ! এই গানটাই আমাকে আজি গাইতে হবে ।” হঠাৎ দেখিলাম, অনেকগুলি লোক বাড়ীর দিকে আসিতেছে । এ আবার কি ? ভগিনীপতি যে বলিয়াছিলেন, বেশী কাহাকেও বলা হইবে না ! দেখিতে দেখিতে তাহারা কাছাকাছি অসিয়া পড়িল । রসিকদাদার গানের তান একেবারে বন্ধ হইয় গেল। তিনি সভয়ে বলিয়া উঠিলেন, “বিয়ের দিনে এর আবার কেন ? এ ষে পুলিলের দল ।” ২২৯ আমি বিস্ময়স্তব্ধ হইয়া পড়িলাম । নিকটে অtসিয়৷ তlহীদের মধ্যে আমাকে জিজ্ঞাসা করিল, “আiপনার নাম ?”

  • রমাপ্রসাদ * “রমাপ্রসাদ বস্ব ?” *অাঞ্জে হ্য।” একজন পাহারাওয়ালার হস্ত হইতে গুহাপরিত্যক্ত আমার সেই উত্তরীয়খন লইয়া আর এক জন তখন জিজ্ঞাসা করিল, “এ কি আপনার ?” “অজ্ঞে হ্যা, “আপনি কোথায় পাইলেন ?” *আর এই ছোরখানা ?” দেখিলাম আমায় বটে, কোন উত্তর না করিয়া চুপ করিয়া রছিলাম।

“দেখিতেছেন, ইহা রক্তমাখা ?” দেখিলাম বাস্তবিকই রক্তমাখা ; কিন্তু উহু! দিয়া সে দিন যুবকের বন্ধনরজ্জ্ব কাটিয়াছিলাম মাত্র, উহাতে রক্তের দাগ আসিল কিরূপে ? বুঝিলাম, আমার বিরুদ্ধে একটা যড়যন্ত্র চলিতেছে । কি উত্তর দিব, স্থির করিতে না পারির নীরবেই রছিলাম। দারোগ বাবু উগ্রস্বরে বলিলেম, উত্তর দিন না, চুপ ক’রে রইলেন যে ” অtfম জপরাধীর মত আস্তে আস্তে বলিলাম, "ছোয়াখানা আমার বলেই মনে হচ্ছে, কিন্তু ও ছোয়া দিয়ে ত আমি কোন দিন রক্তপাত করি নি।” "রক্তপাত করেছেন কি না, সে কথা আপনাকে জিজ্ঞাসা করছিনে, সে সব কথা থানাতে হবে।" বলিয়া তিনি ইঙ্গিত করিবামাত্র, একজন পাহারাওয়াল অগ্রসর হইয়। আমার হাতে খুনীর হাতকড়ি আঁটিয়া দিল । বিবাহের দিনে আনন্দ-সঙ্গীতের পরিবর্তে শোকক্রদনে গৃহ ধ্বনিত হইয়া উঠিল । 藝 會讀 臺 事 憐 বন্দী অবস্থায় যে আমার সময় কিরূপে কাটিয়াছিল, তাছা না বলাই ভাল বলিবার ক্ষমতাও নাই। সে নরক-যন্ত্রণাধ জ্বালা এখন ভাল করিয়া মনেও আনিতে পাবি না, তাই নিস্কৃতি ; নহিলে মুক্তিলাভেও প্রকৃত মুক্তির সুখলাভ করিতে পারিতাম মা । সেই বিষম দুদিনে বিধাতা পুরুষকে যন্ত্রণাকাতর প্রাণে অভিশাপ দিতে দিতে প্রত্যাশা করিয়াছিলাম, ফার্সীদণ্ডেই জীবনের সমাপন হইবে ; ८कन मl, चांथांब्र विक्ररक थशां* ननेौन-~~षबछांन C