পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব ডাকাতের ডায়েরি নাঃ, আর পাব৷ যায় না ! দুৰ্ব্বল মনটার সঙ্গে কিছুতেই আর পারিয়া উঠিতেছি না । জাগে বিশ্বাস ছিল, ‘স্বদেশী হইব মাত্র মনের কাপুরুষতামালিন্ত আপন হইতে মুছিয়। পুছিয়া যায়। কিন্তু বিপরীত জ্ঞানের টনটনে বেদনায়—গ্লানিজর্জর আত্মাপুরুষ হতাশ্বাসে মর-মর হইয়া পড়িতেছে —উপায় কি করি ? কিমৌষধ ? দুঃখের জালায় এক একবার এমনও ইচ্ছা হয় যে, দুর্বলতা-ফুৰ্দ্ধাস্ব এষ্ট হৃৎপিণ্ড-অরিটাকে দুই হাতে চিরিয়া হিরণ্যকশিপু বধের আনন্দলাভ করি,—তাই বা পারি কই ? ইহা ত আর অসঙ্গয় বাঙ্গালী-বধুকে ঘরের কোণে ঠাসিয়া মারা নয়-- এ হইতেছে প্রবল দৈত্য আত্মাপুরুষ— ইঙ্গকে মারিতে গেলে নিজেই মরিতে হইবে, তাহা পাবি কই ? অতএব আবাব জিজ্ঞাসা করি —fকমৌষধ" ? মনের কাপুরুষ তা ঘুচাষ্ট কিরূপে । শুনা যায়, আমার পূৰ্ব্বপুরুষ হরিহর শম্মীর নামডাকে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল থাইত । রঘে ডাকাত আমাদের বাস্থভিটাব ধীর দিয়া নদী বাকিয় ডাকাতী করিতে যাইবাব সময় উচ্চৈঃস্বরে তার নাম জপ কবিতে করিতে নৌকা চালাইত। হরিকত্ব ছিলেন রঘুর অস্ত্রগুরু। লাঠিতলোয়ারে তিনিই নাকি তার হাতে খড়ি দেন। গুরুভক্ত রঘুবীর ডাকাতীর পর প্রতিবারই নবরত্ব ডালি তাহার চরণতলে ধরিয়া দিয়া গুরুপ্রণাম পুৰ্ব্বক সকল পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিত। তখনকার দিনে এরূপ উপহার গ্রহণ মানহানিকর বা রাজঅপরাধ বলিয়া গণ্য ছিল কি না, আমার জানা নাই—তবে রঘুবীরের এই সন্মানে হরি শর্মার নামডাক ষে খুবই বাড়িয়া গিয়াছিল, দেশের সৰ্ব্বসাধারণ যে তাহাকে অতিরিক্ত ভক্তি-সম্মানের ۔بی۔سہاہے سسسـسیـــ جو بے দৃষ্টিতে দেখিত, ইহা বেশ ভাল করিয়াই জানি। এ হেন প্রবলপ্রতাপ হরিহর শর্শ্বfর সস্তান যে মামি—আমার সকল তেজ, সকল উদ্দীপনা,— একটা নরম কথাতেই কি না ঠাও জল হইয়। যায় ! হায় রে! প্রকাশেও এ দুঃখের উপশম নাই –কেবল লজ্জা ! আমার পিতৃঠাকুর ছিলেন—হেয়ার কলেজের এক জন লব্ধ প্রতিষ্ঠ ছাত্র । কলেজের ইংলিশ প্রোফেসর ডাক্তার কেমিক্যাল তাহাকে সন্তানতুল্য স্নেহ করিতেন। তখনকার দিনে নাকি গুরুশিধ্যে বিজাতীয় বিসংবাদ ছিল না। এই পূরাদস্তুর পিঠ-থাবড়ান সম্পর্ক--ইংরাজীতে যাকে xtai Patromising εta, vet&i Qv aywftas তেজখৰ্ব্বকর—তাহtuত আর সন্দেহমাত্র নাই । ५ ब्रुं श्रiंश्च शंड-दूणtन (झश् खङ्केि बiखरुष्णि আমরা মোটেই পছন্দ করি না, তবে পিতৃদেব অন্তরূপ বুঝিতেন, শিক্ষকের মহে তিনি আপনাকে ধন্ত জ্ঞান করিতেন । পিতার মৃত্যুকালে আমার বয়স ছিল ১৫ বৎসর। তিনি যখন রোগশয্যায় পড়িয়া, তখন ডাক্তার কেমিক্যাল প্রায়ই র্তাহীকে দেখিতে আসিতেন, আমাকে সেখানে উপস্থিত দেখিলে, অজস্র মিষ্ট কথা আমার উপর বর্ষণ করিতেন, আমার বালক-মন সহজেই তাছাতে অভিভূত হইয়া পড়িত । মৃত্যুর সপ্তাহখানেক পূৰ্ব্বে একদিন বাবা কেমিক্যাল সাহেবকে বলিলেন, “জানেন ত সাহেব, অনেকগুলি সস্তানের মধ্যে এই ছেলেটি আমার বেঁচে আছে, এ'কে আমি মানুষ ক’রে যেতে পালাম না, আপনার উপরই সে ভার রইলো, দেখবেন, ভবিষ্যতে এ যেন মানুষ হয় ।” 豪 鬱 聯 影