পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৬ বলিয়াছি, শ্ৰীবাবু সেদিন বাড়ী ছিলেন না— তাহার বাবা, কাক বা মামা এমনই কোন এক জন বুদ্ধ একটি ছোট বাক্স লইয়া গু ডি মারিয়৷ অন্দরের মুড়িপথ অতিক্রম করিবার চেষ্টা করিতেছিলেন, সর্দার তাহার পিঠে আস্তে অস্তে বন্দুকের আগার দ্বারা দুই একটি টোক লাগাইয়। সসম্মানে কহিলেন, “পালাবার পথ বন্ধ, বাক্সটি ফেলে দিতে আজ্ঞা হোক ” বুদ্ধ মুখ তুলিয়া চাহিলেন, কি সে করণ ভীতভাব ! সভয়দৃষ্টি ! সহযোগীর হাতের ট%লাইটের রঙ্গিন আলোক যেন শবের পাংশু মুখে নচিয়া উঠিল। বৃদ্ধ কম্পিত হস্তে বাক্সটা রাথিয় ক্রনদনপরায়ণ হইয়। কহিলেন - “আমার তরঙ্গিণ এ বাক্স অামার কাছে গচ্ছিত রেখেছে । তার বিধবা মেয়ের গঠন । কি জবাবদিঙ্গি ক ধ্রুব তাঁকে ?”

  • বলবেন - তার ধন খুব সৎকার্যেষ্ঠ লেগেছে ; চাবির গে|ছাট। দিলেন না ত ? ফেলে দিন ঠাকুমশায় ।”

বুদ্ধ ভাবিতেছিলেন, বাপ ফেলিক্স দিলেই তিনি রেঙ্গই পাইবেন, কিন্তু আমাদেব আবার তাঙ্গতেই নবৃত্ত নহে দেখি 1, অগত্য চাবির গোছাটাও ফেলিয়া দিয়া একটু ক্ষীণ অভিমান প্রকাশ কfরয় কহিলেন, “এই নে বা বীরা এই নে, সেথিস যেন কাউকে প্রাণে মারিসনে ৷” অতঃপর তিনি কাতরচিত্ত্বে দুই হাটুর মধ্যে মাথা গুঞ্জিয়া সারসপক্ষীর দ্যtয় অন্ধ সাজিয়া বসিয়া রঙ্গিলেন ; আমরা আলমারি, সিন্দুক লণ্ডভণ্ড করিয়া মাল-সংগ্রহে প্রবৃত্ত হইলাম । স্ত্রীলোকরা ছেলে কোলে করিয়া ঘোমটা টানিয়া এক ঘর হইতে অন্ত ঘরে চলিয়া যাইতে লাগিলেন, জামরা সন্মানভরে নমস্কারপূর্বক সমকণ্ঠে বলিলাম—“যন মীঠাকুরুণর যান, আপনাদের আমরা কিছুই বলব না কিওঁ—” “কিন্তু দেশের কাযে কিছু ভিক্ষা দিয়ে যেতে হবে, বেশী কিছু নয়, হাতের অনও ’গাছি খুলে দিয়ে यांन् । “গলার হারগাছাও খুলে ফেলুন।” “নথটাও বাদ রাখবেন না, আজকাল নথের ফ্যাসান একেবারেই উঠে গেছে- ৭ নেন ত ?”

  • লোহাগাছি হাতে রেথে বালাজোড় দিতে

ভূতলে স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী কি কষ্ট বোধ কৰ্ব্বেন ? বাঙ্গালীর মেয়ে ৩ আপনার ; পুণ্যলাভের জন্ত কোলের ছেলেকেও उ मर्छाटद्ध उभि८म्न tिभ्र श्रृंitकन । नि মাঠাকুরুণ—uদশের কাযে দান দিয়ে পুণ্যলাভ করুন ?” ভয়ে কঁাপিতে কঁাপিতে সকলে অলঙ্কারহীন হইতে লাগিলেন, মাতাদের অলঙ্কারে দেশমাতাকে সাজাইবার মানসে আমরা উৎফুল্পভাবে সে দান গ্রহণ করিলাম । মা’র অঞ্চলধারী একটি ছোট মেয়ে মুখোপগুলার দিকে চাহিতেছিল, অীর কাদিয়া কাদিয়৷ উঠিতেছিল। এক জন তাতার হাত ধরিয়া বলিল, "এস ত লক্ষ্মী এ দিকে ” সে খুব জোরে চীৎকার করিয়া কাদিয়া উঠিল । এই সময় সহসা আমার মুখোসের দড়িটা খুলিয়। মুখোসটা আমার মুখ হইতে নামিয়া পডিল । মেয়েটি ছুটিয়া আসিয়া আমার পী জড়tঙ্গয় ধরিল, তাহার বোধ ভয় মনে হইল, এই ভীষণ দৈত্যকুলে আমি প্ৰহলাদ, আমার নিকট হইতে করুণ পাইবে সে । সে ঠিকই তাfচয়াছিল, আমার ইচ্ছায় কার্য্য হইলে, আমি তাহার গহনা লইতাম না ; কিন্তু আমি এখন যস্থমাত্র, সর্দারের ইঙ্গিতচালনায় আমি তাহার হাত হইতে বালা ছ’গাছি খুলিয়া লইলাম। একটা অমুতাপের তীব্র ঝাপটায় অস্তস্তল ভেদ করিয়া সে কাতর ক্ৰন্দনে আমার দিকে চাহিয়৷ রছিল । আমি বার বার “বন্দে মাতরম্ মন্ত্রের জপে সে আলোড়ন শাস্ত করিয়া লইলাম । অৰ্দ্ধঘণ্টাকাল মাত্র আমাদের কার্যের সময় নিদিষ্ট । তাঁহার মধ্যেই আমরা টাকা-কড়ি অলঙ্কারাদি যথেষ্ট বাধিয়া লইয়ু থলি-স্কন্ধ সৈনিকবেশে সদর-দ্বারে উপনীত হইলাম । এই সময় পলাতক ভূত্যের সহিত কয়েকজন পাডাগ্ৰতিবাসী এবং জন দুই চৌকিদার পুরুষ আমাদের কাছাকাছি আসিয়া পড়িল । সকলের হাতে বড় বড় লাঠী, কিন্তু তাহা চালনার অবসর তাহীদের ভাগ্যে আর ঘটিয়া উঠিল না । ঘন ঘন বন্দুকের আওয়াজে তাহাদিগকে চিত্রাস্কিতের ন্যায় দাড় করাইয়। রাখিয়ং, চোরাই মালসহ অমির তাহাঁদের পাশ দিয়াই বীরদৰ্পে বুক ফুলাইয়া চলিয়! গেলাম ।