পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব ডাকাতের ডায়েরি وي. ইহাই স্বদেশী ডাকাতী ! এত সহজে এরূপ সৰ্ব্বনাশ৷ জয়লাভ এক বাঙ্গালাদেশেই সম্ভবে ! আত্মরক্ষার জন্ত একখান খাড়। -- অর্থাৎ বড় রকম দ। ঘরে রাখিতেও বাঙ্গালীর অধিকার নাই। এই অবাধ জয়লাভে আত্মপ্রসাদ লাভ করিব কি, মন দুঃখগ্লানিতেই ভরিয়া উঠিল। বাঙ্গালার প্রকৃত অসহায় অবস্থা বেশ ভাল করিয়াই হৃদয়ঙ্গম কfরলাম। তবুও যে এ দেশে ঘন ঘন ডাকাতী হয় না, রাজভয় তাহার প্রকৃত কারণ নহে, বাঙ্গালী জাতি ষে কিরূপ শান্তিপ্রিয় নিরীহ প্রকৃতির লোক— ইহা श्रङ उांशझे दूत बांग्न । शंग्न झांद्र ! रुउ শৌর্যবীৰ্য্য মনুষ্যত্বের বিনিময়ে এই শান্তিটুকু আমরা কিনিয়াছি ! দ্বিতীয়বারে আমরা নৌকা-ডাকাতী করি । সেবারেও বেশ সহজে সিদ্ধিলাভ হইয়াছিল। কিন্তু তৃতীয়বারে আমরা নিরাপদে ফিরিতে পারি নাই । আমাদের কৃপায় ক্রমে লোকরাও সচেতন হইয়া উঠিতেছিল। এই মুমুৰু নিজাব জাতিকে প্রাণবস্ত সজীব করিয়া তুলিলাম আমরা অঙ্গুলিগণ্য নগণ্য কয়েকজন বালক । ইহা কি আমাদের গৌরবের কথা নহে ? রাজপুরুষগণও আমাদের ধরিতে না পারিয়া ত্ৰাহি ত্ৰাহি ডাক ছাড়িয়াfছলেন । তৃতীয়বারেও নৌকাযোগে ডাকাত করিতে যাই । ডাকাতীর পর মালপত্রসহ অমিয়া যখন নদীর প্রায় কাছাকাছি আসিয়া পড়িয়াছি, সপুলিস জমীদারের লোকজন হই পাশ হইতে আমাদের আক্রমণ করিল। Fire করিতে অর্ডার পাইলাম পুলিসও বলুক ছুড়িল । তবে অন্ধকার রাত্রি - পুলিসের হারিকান লণ্ঠনের আলো মাঝে মাঝে এক একবার এক একদিকে মাত্র আলোক নিক্ষিপ্ত করিতেছিল, সেই জন্য আত্মরক্ষার সুযোগ আমরা যথেষ্ট পাইয়াছিলাম। একটিমাত্র ছেলে বন্দুকের গুলীতে আহত হইয় পড়িল, কিন্তু সে অবস্থায় তাহাকে নৌকায় তোলা সহজ নহে বুঝিয়, সর্দার তৎক্ষণাৎ তাহার মস্তক দেহবিচ্ছিন্ন করিয়া ফেলি८छन । झुड़े छन ८मह जहेम्नो cमंठा, झ्यि बच्चक তুলিয়া নদীতে নিক্ষেপেয় ভার পড়িল আমার উপর। একদিন আমার পাঠ কাটিতে কষ্টের সীমা ছিল না, ञांब्र श्रांज cनहे उपांबिहे नर्विांरब्रब्र हकूष्म जानांब्रांप्न ২৩৭ বন্ধু বালকের ছিন্নমুণ্ড তুলিয়া লইয়া অন্ধকার পথে তীরের দিকে ছুটিলাম । সোজা পথে নৌকা ধরিতে গেলে ধরা পড়ার সম্ভাবন, সকলেই আমরা খুন্থপথে যাত্রা করিলাম। শঙ্খ-ঘাট আগে হইতেই যদিও, চেন-জান, তবুও অন্ধকারে আমি কেমন দিশাহার झ्झेब्रा मणदिक्रिञ्च श्हेब्रl *फ़िलांश । cनोकांब्र উঠিবার যখন শেষ সঙ্কেত-ধ্বনি পড়িল, তখনও আমি তীরে পৌছিতে পারি নাই। চুটিয়া ছুটির পথ চলিয়া দু’মিনিটের মধ্যেই যদিও একটা আঘাটায় আসিয় পৌছিলা . কিন্তু নৌকা তখন প্রায় মধ্য-জলে সশব্দে বাহিত হইয়া চলিয়াছে ; তাহার নিশানখান অন্ধকারেও জুলিয়া দুলিয়া আমার পরিত্যক্ত অসহায় অবস্থা দেশ পুর্ণভাবেই ইঙ্গিত করিয়! জানাইল । বিজন নদীতীরে তৃতীয় প্রহর নিশfকালে যুখভ্রষ্ট মেঘসম আমি এক, ন, ঠিক এক নহে— আমার সাথী হস্তে সেই ছিন্ন মুগুটি । অlমারি সমবয়সী বালক ছিল সে –কি ভালই বাসিতাম তাহাকে ! মুগুটি দুই হাতে ধরির গভীর স্নেহভরে সেই মৃত মুখের দিকে চাহিয়া রছিলাম -নক্ষত্র জগতের সমস্ত কিরণ-কণা তাহার উপর কেন্দ্রীভূত হইয়া উঠিল,—কি প্রশস্ত কি প্রফুল্প সে মৃতমুখ,— হসিভর চোখ দুটি মামাকে যেন সত্ত্বেন প্রদান করিতে লাগিল, তবু কষ্টে চখে জল ভরিয়া উঠিল, আমি চক্ষু নিমীলিত করিলাম। কতক্ষণ এরূপে বসিয়া ছিলাম, জানি না – সংস। যেন পশ্চাতে পদশব্দ শুনিলাম, আর ত ভাবনা চিত্তার সময় নাই — আত্মরক্ষার সময় অtসিয়া পডিয়াছে ; আমি তাড়াতাড়ি জলে নামিয় দাড়াইয়া মুগুটা নদীর গভীরতর প্রদেশে নিক্ষেপ করিলাম, পরে উঠিয়া অন্ত স্থানে গিয়া দাড়াইলাম। তখন ভোরের আলোক ফুটিতে আরম্ভ হইয়াছে, দেখিলাম— পিরাণটা রক্তমাখা, তাড়াতাড়ি তাহt খুলিয়া জলে ফেলিয়া দিয়া, নদী-পাড়ের নীচে নীচে কৰ্ভু বা বালু-পথে, কভু বা কাদা-পথে, কঙ্কু কাটবেীপের মধ্যে দিয়া চলিতে লাগিলাম। কি সে উৎকট ঔৎসুক্য ! বলিয়। প্রকাশ করা যায় না । যিনি ভুক্তভোগী, তিনিই মাত্র আমার সে সময়ের নিদারুণ যন্ত্ৰণ বুঝিতে পাfরবেন । একবার নিশ্বাস গ্রহণের জন্য একট ৰোপের মধ্যে