পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্প-প্রবন্ধমঞ্জুষা পাবার আশা করেছিলে, তা পাও নি। টীকা পেলে কি না, জানার জন্য খুবই উৎসুক হয়ে আছি ! আমি যদি তোমাকে এই সময় কিছু পাঠাতে পারভুম ! বীর বার সেই কথাই ভাবছি । ভাবছি শুধু তা নয়-প্রাণপণ চেষ্টাও করছি।

  • আমার ছোট গল্পগুলি সংগ্ৰহ ক’রে পাঠালে ‘বসুমতী’ ছপিতে রাজি আছেন, কিন্তু তার সঙ্গে দু'একটা নতুন গল্পও দিতে হবে । একটা শেষ ক’রে ফেলেছি । আজ রাতে দু’টা পরিচ্ছেদ লিখে ফেলতে পারলে আরও একটা শেষ হয়ে যাবে। অামি তঃ হ’লে কালই সমস্ত গুলা একসঙ্গে ডাকে দিতে পারব । গল্পগুলা পেলেই তারা আমাকে তিনশ’ টাকা পাঠাবেন বলেছেন । তোমার জন্মদিনে শ্ৰীচরণে সে উপহার গিয়ে পৌছিবে। ভাবতেও এত অনিন্দ হচ্ছে ।

"ভাল কথা, ‘ভারতী’ খান পেয়েছ কি না, লিখলে না ত ? তোমার কেমন লাগলো, জীনবার জন্য আমি যে এ দিকে ছটফট করছি—* এই পৰ্য্যন্ত লিখিয়া পিয়নের ইঁাকে তাড়াতাড়ি শান্তি নীচে মেল-চিঠি আনিতে গিয়াছিল । পদশব্দ শুনিয়া, সে গুঙ্গে ফিরিবীয় আগেই কান্তি সরির পড়িল । যাইতে যাইতে ভাবিল—“বtঙ্গ রে মেয়ে ! তলে তলে কত কাণ্ডই করছ তুমি,-- পুরুষদেয় তার মানালে দেখছি । এবাব আমাদেরই হাতাবেডি নিয়ে রান্না-ঘরে গিয়ে বসতে হবে – আর তোমরা নিখিল কাব্যের ম্যানেজারি করবে । সেটি কিন্তু হঠাৎ করতে দিচ্ছিনে, ঠাকরুণ।” 穆 穆 釁 肇 “ও সুমিত্র, বলি ও সুমিত্র রাণি, কোথায় যাওয়া হচ্ছে ?” মুমিত্র দাদাবীবুর এই আদরের ডাকে গলিয়া গিয়া হাসিয়া বলিল--"দিদিমণির চিঠিপত্র ডাকে দিতে যাউছি, দাদাবাবু - “কি চিঠিপত্র দেখি, ” এট বলিয়া মুমিত্রার হাতের কাগজপত্রগুলা কাক্তি নিজের হাতে উঠাইয়া লইল । সুমিত্র ফিস ফিস করিয়া বলিল—“দিদিমণি २ ५१ রাগ করবে দাদাবাবু, বলে ন—তুমি দেখিছ চিঠিপত্তর ।” “তা কেন বলব ; মুমিত্রীরাণীকে কি আমি বকুনি খাওয়াতে পারি।" গল্পগুলি হাতে পাইয়া কাfগুর সদয় আশানন্দে কঁপিয়া উঠিল, সে বলিল, “ত তুমি আর কেন যাবে, আমিই ত ডাকঘরে যাচ্ছি—অমনি এগুলো-ও ডাকে দিয়ে দেব ।” “ত দিও দাদাবাবু, দিদিমণিকে বলিব, মুই ডাকে দিউছি। মালী ডাকছি কেন, শুনিকিরি আসি ।” কম্পাউণ্ড হইতে ঘরে আসিবাব সময় কান্তি আকাশপথে চিকি চিহি কাতর ক্রনদনধ্বনি শুনিল। উপরে চাহিয। দেখিল, উড়ন্ত চিলের মুখে একটা মুরগীর বাচ্ছা ? তাছার বক্ষে একটা করুণ কম্পন উঠিয়া মুহূৰ্ত্তমধ্যে তাহা মিলাইয়। গেল ! 醬 疊 善 醬 শান্তি হা-প্রত্যাশা করিয়া দিন গণিতে লাগিল, সপ্তাহ কাটিল-মাস যায়, কই, বসুমতী’র নিকট হইতে ত কোন উত্তর পাওয়া গেল না। স্বামীর জন্মদিন আসিতেও ত আর বেশী বিলম্ব নষ্ট – শান্তি সম্পদ ককে আর এক থানি পত্র লিখিল । উত্তর আদি ল—লেখিকা শান্তিবালার কোন গল্পই অফিসে পৌছে নাই । শান্তির বুকের পাজরাখানা যেন ভাঙ্গিয়া পড়িল । কিছুদিন পরে ভারতলক্ষ্মীতে প্রকাশিত “চৌর্যমাহাত্মা" নামে একটি গল্পের প্রশংসা নানা কাগজে বাহির হইতে লাগিল। আর কোন গল্প যদি লেখক না-ও লিখেন—এই গল্পটিতেই তিনি সাহিত্য জগতে অমরনাম লাভ করিবেন, এমন কথাও কেহ কেহ বলিয়াছে । ভারতলক্ষ্মী একখানা কিনিয়া শান্তি গল্পটি পড়িল, এ কি ! এ যে उiहांब्रहे श्रृंज्ञ, cरूरुल नांप्यन्न दलब-७द९ झांरम স্থানে দুই চারিট কথার পরিবর্তন -লেখক স্বনামধন্ত ঐকমলাকান্ত মর্শমস্থিত অমৃতাম্বুজকণ্ঠ কবি-বাসন ।