পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8w সাহিত্যে দেশবন্ধু ناحیه দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের মৃত্যুতে সমগ্ৰ দেশ শোকভিভূত। সকলেরই অন্তরে গভীর বেদন এবং মুখে মৰ্ম্ম-উখলিত ভাষা—“সৰ্ব্বনাশ হইল।” দেশের নরনারী তাহার প্রতি কিরূপ নির্ভরপরায়ণ ছিল, অকৃত্রিম হিতকামী বন্ধুবিশ্বাসে তাহাকে কতদূর শ্রদ্ধাভক্তি করিত, তাহ তাছায় মৃত্যুর পর আবালবুদ্ধবনিতার শোকাঞ্চলিদান হইতে অতি সুস্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে। চিত্তরঞ্জন মহাত্মা গন্ধীর ভক্ত হইয়। অসহযোগব্ৰত গ্রহণ করেন, কিন্তু ভক্তির এমনই প্রভাব যে, দেশবন্ধুর চিতাহুতির দিন মহাত্মা স্বয়ং তাঁহারই প্রবর্তিত কাউন্সিল-গ্রহণের সহায়তা করিবেন বলিয়া প্রতিশ্রুতি দান করিয়াছেন । সত্য কখনও মরে না । তাঙ্গর প্রভাব চিরস্থায়ী। দেশবন্ধুর নশ্বর দেহ বিনষ্ট হইলেও তাহাব কাৰ্য্যপ্রভাব চিরঞ্জন্ত্রিরূপে ভারতে চির-বিরাজমান রহিল। মৃত্যুতে তিনি আমাদের নবজীবন লাভের শক্তি দান করিয়া গেলেন । আমরা যদি এই শক্তি গ্রহণ করিতে পারি, তবেই সে দানের সার্থকতা। শোক করিবার দিন ফুরাষ্টয়া আসিল । এখন যদি র্তাহার অমুদ্‌যাপিত দেশমঙ্গলব্রত উদ্যাপানে আমরা যথাসাধ্য শক্তি অর্পণ করি, তবেই তাহণকে প্রকৃত সম্মান দান করা হইবে । তাহার সম্মানরক্ষার অর্থই আত্মসন্মানরক্ষা । শয়নে স্বপনে যে চিত্মা পলে পলে র্তাহাকে মরণের পথে টানিয়া লইয়া চলিয়াছিল, তাহা তাঙ্গার নিজের স্বার্থচিন্ত নহে । লক্ষ লক্ষ লোকের স্বার্থের মধ্যে র্তাহার ক্ষুদ্র স্বার্থ জলবুদবুদের স্তায় বিলীন হইয়া পড়িয়াছিল। সমগ্র দেশের মঙ্গলই তিনি আত্মমঙ্গল বলিয়া জানিয়াছিলেন। কেবল জানেন নাই—প্রাণ, মন, দেহ দিয়৷ সেই জ্ঞান কাৰ্য্যে পরিণত করিবার চেষ্টায় ছিলেন। ভগবান আমাদের প্রয়োজনমত যুগে যুগে নেতা প্রেরণ করেন । চিত্তরঞ্জন ছিলেন, ভগবৎ-প্রেরিত শক্তিমান দেশপ্রেমিক, ভারতবর্ষের স্বরাজ-নেত। भशंका अंकौ बलिब्रां८झन,-cमनंयङ्क शब्रांप्छन्न छछहे স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী বাচিয়া ছিলেন এবং স্বরাজের জন্তই দেহপাত করিয়াছেন। অতএব এমন বদি কোন দিন আসে —যে দিন আমরা পৃথিবীস্থ অন্তান্ত স্বাধীন দেশের নরনারীর সঙ্গে সমকক্ষভাবে মাথা তুলিয়। দাড়াইতে পারিব, সেই দিনই আমাদের দেশবন্ধুর অপূর্ণ অাশা আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হইবে এবং একমাত্র ইঙ্গতেই তাহtয় স্বর্গগত আত্মা পরিতৃপ্তি লাভ করিবে । - চিত্তরঞ্জন যে দেশের fক ছিলেন, কি গুণে যে তিনি সমগ্র দেশের অন্তঃকরণ অধিকার করিয়া গিয়াছেন– কত বড় বড় লোক ইহার ব্যাখ্যানিরত হইয়া ভাষার সৈন্স অনুভব করিতেছেন, এমনই বিরাট অপূৰ্ব্ব ছিল তাহার দেশপ্রেম, মাহাত্ম্যময় ছিল তাহার অীয়তাগ এবং কৰ্ম্মশক্তি । তবে আমি আর এ সম্বন্ধে বেশী কথা কি লিখিব ? আমি শুধু বলিতে পারি, তাহার কবিতার সম্বন্ধে দুই চারিটি কথা । সাহিত্যের দিক হইতে তাহাকে যেন ভাল করিয়া অামাদের এখনও দেখা হয় নাই । আশা করি, অতঃপর সাহিত্যমন্দিয়েও তাহার যথাযোগ্য আসন নির্দিষ্ট হইবে । তিনি যে বেশী কবিতা রচনা করিয়াছেন, তাহ নহে ; ক্ষুদ্রায়তন চারি পাঁচখানি পুস্তকের মধ্যে র্তীকার কবিতার সমষ্টিসংখ্যা এক শতের অধিক হইবে কি ন সন্দেহ । কিন্তু এক চন্দ্রও তমোহরণ করেন ; একটি বিদ্যুৎ-কণিকার মধ্যেও বজ্ৰতেজ নিহিত । সংখ্যাবহুলদীনে তিনি সাহিত্যভাণ্ডার সাজাইতে ন পারিলেও ভাবসম্পদে তিনি তাহ। অলঙ্কৃত করিয়াছেন । তাহার সকল কবিতাই তাহার অন্তর্নিহিত ভাবের যেন সাধন –ৰ্তাহার জীবনেরই বেন রহস্তময় ভবিষ্যদ্বাণী,– যে মহাপ্রেম তাহার জীবনকে চিরদিন আচ্ছন্ন, অভিভূত, ব্যথিতআকুল করিয়া রাখিয়াছিল—তাহারই যেন মূৰ্ত্তিমন্ত বহির্বিকাশ। তাহার এই ছন্দোময়ী ভাষার মধ্য দিয় তাহার অন্তরতম মাম্ববটিকে আমরা স্পষ্ট করিয়া দেখিতে পাই বলিয়াই এ কবিতাগুলি এত মূল্যবান । তাহার অন্তরব্যাপী আদর্শ মহাপ্রেমকে ধরিবার জন্য র্তাহার যে আকুলত, ‘মালা’গ্রন্থের “প্রেম ও প্রদীপে” তাহ মুম্পষ্টরূপে অক্তিব্যক্ত – সে কবিতা এইরূপ—