পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७ বেদনার সাড়া জেগেছে। সঙ্গে সঙ্গে তীব প্রতিকারচেষ্টাও মুরু হয়েছে ; তার পর—” "তার পর ‘যুগা স্তরের, পলয়ভেরী বাজিয়ে যুগান্তর এসে দেখা দিয়েছেন । আপনি কি বলেন, —-এ কুম্ভকৰ্ণ জাতের ঘুমের ঘোল ভাঙ্গাতে এরূপ ন্তেরী-নিনাদের প্রয়োজন ছিল না ৮” “যুগান্তরের কার্য্যকলাপের সঙ্গে আমার মতবিরোধ যতই পাক —“যুগাগুবেদ উদ্দীপনা যে একেবারেই নিষ্ফল হয়েছে, এ কথা বলতে পারিনে । যুগান্তর সে দেশের পাপেৰ ভিতর প্রবল একণ আশী তসাহের শ্ৰেণত পষ্টয়ে দিয়েছে এ ও সস্বীকার করি নে। যুগা স্তরের ডাকে শত শত ছেলে প্রাণের মারা ছেড়ে—ময়ের আঙিনাতলে এসে দাড়িয়েছে । এই মঠ শিক্ষায় গুরু শিস্য উভয়েই পক্ষ) । কিন্তু যথন দেখি, এই মাতৃপূজl:জ্ঞে নরবলি অষ্টষ্ঠানের জয়োল্লাস প’ড়ে গেছে, তপনই সল আনন্দ নিরানন্দে ঢেকে যায় । লগআর-কল্পিত উপায় যে দেশকে ব্যাপক এবং স্থায়িভাবে স্বাধীন শক্তিতে উপন্ধ করবে, এ কথ। আমাপ মন স্বীকার করে না ।” “কিন্তু আপনার মত সাত্ত্বিক গুণার উপদেশ লাঞ্ছিত তাধিক শিগগণ ও৪ণ কবীপ না ত ! কাপালিক গুরুর প্রতি তালা নিষ্ঠ পান । দীঘ সাধনায় বিশ্বাসহীন - অপমান-অসহিষ্ণু তাহারা চায় আশুফল ; র তাবতি দেশের অলমোচনে তারা বদ্ধপরিকব , তাদের অধিবাক্য গুচ্ছে Now or never i કરે છેડમારુ છટા મtન નાર્થકાર મtમાફ বা মৃত্যুর বিভীষিক লই । নিজেদের ভগবৎপ্রত্যাপিষ্ট জ্ঞানেই জয়েtল।সে তাপ উন্মত্ত ।” রাজা অতি দুঃখে একটু হ1সিলেন তাহার পর গম্ভীরভাবে বলিলেন, দি এরূপ খুন-জথমই ভগবানের অভিপ্রে ও হোত,শা’ হ’লে কি ট্ৰেণ-বম নিফল হয়, ন মজঃফরপুবে হতাকাও নিরীহ স্ত্রীইতাতেই শেষ হয় ? আচ্ছা, এক ; ভেবে দেথ দথি—এই যে তোমাদের ইংরাচবিদ্বেষ - ধার দরুণ তোমরা পরশুরাম-এত গ্রহণ করেছ, তারই বা মূলে কতটা উগ্ৰ হেতু আছে? ইংরাজ রামরাঙ্গ না হোকৃ— রাক্ষস রাজাও নয়, স্বাধীন ইয়োবোপেরও অনেক রাজার চেয়ে তারা স্বাথদ্বন্দুে তারা সুবিচারী না হ’লেও, নিজের সুবিধায় বে-আইনীআইন চালালেও, তবু তাদের তাহনকামুনের একটা ব্যবস্থা আছে প্রজীমঙ্গলের তার প্রকৃত প্রস্তাবে উদাসীন নয় । তা ছাড়া ইংরাজের শিক্ষা দীক্ষার গুণেই যে আমাদের অন্ধনয়ন ফুটে উঠেছে,–হৃদয়ের Slo, স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী নব-অাশা উচ্চাকাঙ্ক্ষা জেগেছে—তারও ত কোন ভুল নেই। স্বতরাং এজন্য তারা আমাদের কাছে যৎকিঞ্চিং কৃতজ্ঞতার ও দাবী রাখতে পারে না কি ? তার পরিবর্তে তোমরা যদি তাদের উচ্ছেদসাধনে ব্ৰতা ঠও—তা হ’লে তোমরা পতিত উদ্ধার কপূতে যে পারবে না, এটা ধ্রুব নিশ্চয়–মাঝে থেকে ভোমরাই সৰ্ব্বপ্রকারে পতিত হবে ।” বলিয়া রাজা থামিলেন ; তাহার মূৰ্ত্তিতে একটি সুগভীর বিষাদ-বেদন প্রকটিত হুইয়া উঠিল। শরৎকুমারও সহানুভূতি-পীড়িত হইয়া সান্তনাপ্রদানের ইচ্ছাতেই যেন উত্তরে কছিলেন—“ইংরাজ-উচ্ছেদসাধন ত বাস্তবিক কারে অভিপ্রায় নয়— আসল অভিপ্রায় ছলে-বলে কৌশলে তাহীদের শক্তি খৰ্ব্ব কর । রাজশক্তিকে দমন করতে না পারলে আমাদের দশকে ত পাব না । অণপনারা শাসনে সমধিকারলাভের জন্য চীৎকার কবৃছেন, রাশি রাশি রেজলিউসন পাশ করছেন, পোকামাকড়ের খাদ্য হওয়া ছাড়া সে সব রেজলিউসনের কি সার্থকতা আছে, বলুন দেখি ? এতদিনের পর এখন যে রিফৰ্ম্মস্কিমের একটা কথা শোনা যাচ্ছে- এ কি শুধু বিদ্রোহিতার ফল নয় ?” w রাজা হtাসস্থা বললেন—“আমরাও যেমন, তোমরা ও তেমনি সবাই সমান বাদর কি না— তাঙ্ক ওদের হাতের কম। দেখে আনন্দে নৃত্য করতে লেগে গেছি। আসল কাজ রইল পড়ে আর আমরা চীংকাব ক’রে মৰ্বছি আর তোমরা কাটাকাটি ক’রে মর্ছ এতে যে কাজ একেবারে কিছুই হচ্ছে না, তা যদিও বলতে পারিনে, তবে ঠিক পথটা ধরলে কায খুব এগিয়ে যেত। মাণিক তলার সেই মহামতি ছেলেরা— যারা অসি দ্বারা স্বাধীনতা লাভ কতে গিয়েছিল, তারাও শেষ মুহূত্তে নিজেদের ভুল যে বুঝেছে, তাতে আমার মনে সংশয় নেই। সাহসের বা অস্ত্র-শস্ত্রের অভাব ছিল না ত তাদের, কিন্তু ধরা পড়বার সময় আত্মরক্ষার জন্য একটা বন্দুকের আওয়াজ পৰ্য্যন্ত করে নি তারা। আর নিৰ্দ্দোষীদের রক্ষা করার জন্য মুক্তকণ্ঠে আপনাদের দোষ স্বীকার ক’রে নিয়ে অকুণ্ঠচিত্তে পুলিসের ঘূর্ণবৰুে ঋপি দিয়েছে । এইখানেই তাহাদের মনের খাটি মহত্ত্ব, খাটি সাত্ত্বিকতা সুস্পষ্ট হয়ে উঠে— তাদের পূৰ্ব্বানুষ্ঠিত প্রচও নীতিকে ক্ষণিকের ভুলভ্রান্তি ব’লে প্রমাণ ক'রে দিচ্ছে * “কিন্তু এ ভুল যে দেশের প্রাণের ভুল । সে ভুল যত দিন না ভাঙ্গে, তত দিন এমনিই চলবে। ব্যর্থতার