পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিলন-রাত্রি بہ-سمیعحtrag-syسیحہ۔--سا প্রথম পরিচ্ছেদ রক্তরাগরঞ্জিত উজ্জল অপরাত্ত্বে প্রসাদপুরের রাজৰ জ্যোতিৰ্ম্মাতাহার শিক্ষয়িত্রী কুন্দের সহিত নিতৃত কানন-কুঞ্জমধ্যে বসিয়া যtহার আগমন প্রতীক্ষা করিতেছিলেন, অনাদি র্তাহীকে পৌছিয়া ಗ গেল । - ইনিই কি তাহার বহু আকাঙ্ক্ষিত গুরুদেব ! প্রণামান্তে জ্যোতিৰ্ম্ময়ী তাহাকে নিরীক্ষণ করিয়া • দেখিলেন। ইনি স্বপুরুষ নতেন ; কুরূপ ও নহেন —ইহার বর্ণ ও মুখাবয়ব সাধারণ বঙ্গ-বুবকেরই স্তায় । অসাধারণের মধ্যে হঁহীর সন্ন্যাসিবেশ এবং আশা-বিশ্বাস-দীপ্ত উজ্জ্বল দৃষ্টি। এই দৃষ্টিতে বেশ কটু কঠোর উগ্রভাবও মিশ্রিত ছিল। সন্ন্যাসীর জীখাল্লায় এ ভাব মোটেই বেমানান হয় নাইန္က ႏိုင္တို প্রশংসা-সন্মানলাভের একটা কারণ রূপই দাড়াইয়াছিল। ^ জ্যোতিৰ্ম্ময়ীও র্তাহাকে দেখিয়া আকৃষ্ট হইলেন, "লক্স পরিতৃপ্ত হইলেন না। এ মূৰ্ত্তি ত তাহার কল্পনার দেবমূৰ্ত্তি নহে! মানববুদ্ধির অগম্য জ্ঞানোজ্জল প্রভ ত এ দৃষ্টিতে নাই! ঋষিকল্প ভূত-ভবিষ্মধারণাশক্তি ত এ মূৰ্ত্তিতে তিনি প্রতিফলিত দেখিতেছেন না ! জ্যোতিৰ্ম্ময়ী আশাহত হুইয়। কুন্দের উদ্দেশে পার্শ্বে দৃষ্টিপাত করিয়৷ দেখিলেন, কুন সেখানে নাই। তিনি মিত-নেত্রে উদ্ধে চাহিয়া নিঃশব্দ-দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ ...রিলেন । সুদূর তরুশাপ হইতে উড়িয়া আসিয়া একটি পার্থী মাথার উপর হইতে ডাকিল—‘কথা ক, কথা ক !”— পরিচিত আত্মীয়ের কণ্ঠস্বরে যেন সহসা আত্মস্থ হইয়া বালিকা পুনরায় আগন্তকের দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া দেখিলেন, তাহার স্তব্ধ দৃষ্টি রাজকন্যারই মুখের উপর স্থাপিত । সঙ্কোচ-মৃদ্ধ স্বরে জ্যোতিৰ্ম্মল্পী তাহাকে কহিলেন, “আপনি আসন গ্রহণ করুন।” অতিথির অভ্যর্থনীর জন্ত উদ্যান-চৌকীর উপর একখানি পশমাসন বিস্তৃত ছিল । সন্ন্যাসী কহিলেন,—“আপনিও উপবেশন করুন ।” উভয়ে উপবিষ্ট হইলেন । আকাশের উজ্জল অভিা তখন মান হুইয়া আসিতেছিল- পার্থীর বিদায়গানে কানন মুখরিত হইয়। উঠিয়াছিল ; জ্যোতিৰ্ম্ময়ীর পশ্চাতে সুচারু কারুকার্য্যময় কণ্ঠস্তত্তজড়িত যুথিকালত বলী-বিলম্বিত ফুলগুচ্ছ দুলিয়। জুলিয়া মাঝে মাঝে র্তাহার মাথায় আসিয়া ঠেকিতেছিল ; দুই একটি তাহার কোলে আসিয়া পড়িয়ছিল। অন্য যে সাক্ষাহ্নে তিনি এখানে আসিয়া বসেন, সে দিন তাহার কণ্ঠেথিত মধুর সঙ্গীতে কাননতল মধুরতায় ভরিয়া উঠে । আজ র্তাহার এই স্তব্ধভাব তাহীদের যে ভাল লাগিতেছে না— ইঙ্গিতে এই কথাই যেন তাহারা জানাইয়া দিতেছিল । রাজকুমারী ও মনে মনে বুঝিতেছিলেন, এরূপ নীরবতা ভদ্রসমাজের রীতিবিরুদ্ধ, অতিথির পক্ষে সন্মানজনক নহে । তিনি ফুলগুলি কাপড় হইতে হাতে উঠাইতে উঠাইতে সন্ন্যাসীর দিকে চাহিয়া বলিলেন, “অনাদি-দী বলছিলেন,—আপনি আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন ?” সন্ন্যাসী হাসিয়া বলিলেন,--“সত্য কথা, কিন্তু আপনার পক্ষ থেকে কুন্দও আমাকে আহবান-নিমস্ত্রণ দিয়েছেন। দু'জনের অজ্ঞাতে আমরা দু’জনেই দেখছি পরস্পরের দর্শন কামনা করেছি।” র্তাহার কণ্ঠস্বর সবল, কিন্তু ভীষণ নহে। ভঙ্গীও সরস ; কথা কহিবার সময় তাহার নয়নের উগ্রভাব স্নিগ্ধ হইয়া আইসে এবং চক্ষতারকা বার বার উদ্ধে উত্থিত হইয়া কথিত কথার সহিত প্রচ্ছন্ন গৃঢ় কথাও যেন বলিতে থাকে । * в জ্যোতিৰ্ম্ময়ীর মনের ভাব লঘু হইয়া পড়িল, তিনি সহজভাবে এইবার কহিলেন,—“আমি গুরুলাভের প্রত্যাশায় আপনায় দর্শনপ্রার্থী হয়েছি। কিন্তু আপনি যে কেন আমার মত নগণ্য নারীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন, এতে বড় আশ্চর্য হয়ে পড়েছি।”