পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՅԵս না পাষ্টয়া সে ভাবিল- সে গুঞ্চদশ•ে }খ করি, য়াছে । ইহাষ্ট অস্ত্র-চুরীর আদি ইতিহাস । উপস্থি ভাগের সঙ্গিত ইহার কিরূপ যোগাযোগ আছে, পাঠক তাহা পরে বৃঝিতে পরিবেন । উনবিংশ পরিচ্ছেদ পুত্রকে এক শত টাকা সূক্ষ্ম দিয়া পর্য্যন্ত সঞ্জন রায় ‘মাংসখওলুব্ধ কুঙ্করের স্তায় ধনুকেব প্রত্যাশায আছেন । কিন্তু দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ কাটিল—মাসের পর মাস চলিয়া যায়—সে ধনুক ত কষ্ট ঘরে আসে না। নৈরাগুদগ্ধ হইয়া দর্শনে-আদর্শনে তিনি পুত্রকে গালি পাড়েন –আর দুই সন্ধ্যা চামুণ্ডাচরণে অর্ঘ্যদান করিয়া তাতার কৃপণভিক্ষা করেন । আজ সকালে মন্দির হইতে গুহে ফিবিয়া জপমালা ফিরাইতে ফিরাষ্টতে দশ এগার বৎসর আগেকার একটি ঘটনা তাহার মনে পড়িয়া গেল । তাহার জমীদারীর ঠিক সীমানার পাশে অতুলেশ্বরের জমীর উপর একটি ক্ষুদ্র কলীমন্দির ছিল । এষ্ট ইষ্টকমন্দির রাতারাতি এক দিন তিনি ভাঙ্গিয় দেন। পরে এই মন্দিরস্থান লষ্টয়া বহু দিন উভয়পক্ষে মামলামোকৰ্দমা চলে— এবং বিচার-ভ্রান্তি-ফলে এই অংশ সুজন রায়ের জমীদারীর অন্তভুক্ত হইয়া পড়ে । কিন্তু নিজের অধিকারে পাইয়া পৰ্য্যস্ত তিনি এত দিন এ মন্দিরের পুনঃসংস্কাব কবেন নাই। সেই অপরাধেই যে দেবী তাহার প্রতি অপ্রসন্ন, আজ সহসা তিনি মুম্পষ্ট বুঝিলেন । সেই দিনই আহবাস্তে অশ্বযানে তিনি সেই মন্দিরের খোজে চললেন । মন্দির-স্থান অধিকার করিবার সময় যে সকল লাঠিয়াল নিযুক্ত হইয়াছিল, তাহদেরই এক জন এথল ও তাহার বরকনাজ--তাহাকে তিনি "ঙ্গে লইলেন। তাঁরপথে অনেক দূর আসিয়া পণ্ডিয়া এক স্থানে বরকন্যাজ অশ্বযান থামাইয়া ক15মানের পাশ্বদেশ হইতে নামিয়া অঙ্গুলিনির্দেশে প্রকে দেখাষ্টয়া বলিল,—“ঐ যে জঙ্গল দেখা যায় ধ'র মধ্যে দেবার ছিল-- অধিষ্ঠান ।” বস্তুক্রোশব্যাপী সেই ভীম- জঙ্গলের দিকে চাহিয়। স্বজন রায়ের মাথ। পৃথিয় গেল, তিনি নয়নে অন্ধকার দেখিলেন, তাহারই ঐ পুক এই রূপে অবমানিত হইয়া দেবী এই তমসাবশ 5 ঈলে পড়িয়া আছেন । কালীর ক্রোrধর কারণ মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে উপলব্ধ করিয়া স্বর্ণকমারী দেবীর গ্রন্থাবলী তিনি ভয়কম্পিত কণ্ঠে জোড় হস্তে মাৰ্জ্জনা ভিক্ষা করিয়া কষ্টিলেন, “সস্তানের দোষ গ্রহণ করিও না দেবি, দয়া কর, রক্ষণ কর এ অধম সন্তানকে কৃপা-কটাক্ষ দান কর এই জঙ্গল নাশ করিয়া তোমার কবালী মূৰ্ত্তিকে আমি সপ্ত মন্দিরের ভিত্তিতে স্তাপন করিব।” এ জঙ্গল পদব্রজে অাজ ভেদ করা তিনি সম্ভব জ্ঞান করিলেন না ; পরে হাতীর পিঠে চড়িয়া এখানে আসিবেন, এই সঙ্কল্পে গৃছে ফিরিলেন। গাড়ী আসিয়াছিল তীরপথে ; ফিরিল মাঠের পথ ধরিয়া । অপরাহ্লের রক্তিম-ছটা ক্রমশঃ জঙ্গলের মাথ লাল করিয়া, নদীর জলে ঝিকিমিকি শ্রোত তুলিয়া,-- আকাশের বিশালতা ছিন্ন-ভিন্ন করিয়া তুলিয়া তাঙ্গর নানা স্তরে নানাবর্ণ আকিয়া সন্ধ্যার রঙ্গশালা নিৰ্ম্মাণ করিতে লাগিল, দিকে দিকে পার্থীর আগমনী সঙ্গীত ধ্বনিত হইয়া উঠিল। সুজন রায় গাড়ীর ভিতর হষ্টতে জঙ্গলের দিকে চাহিয়া দেবীকে প্ৰণাম করিলেন,—সহসা তাহার গাড়ীর ঘোড়া দুষ্টট উৎকৰ্ণ হইয়া দাড়াইয়া পড়িল,--কোচমানের দারুণ কশাঘাতে একবার গা-নাড়া দিয়া গাড়ী উণ্টাইয়া ফেলিবার যোগাড় করিল—কিন্তু চলিল না । স্বজন রায় সভয়ে গাড়ী হইতে নামিয়া পড়িলেন ; তাহার কানে বন্দুকের আওয়াজ আসিয়া লাগিল। এ কি । বনভূমিতে বন্দুকের শব্দ । মুহুমূহু দুই চারিটা বন্দুক একের পর একে ধ্বনিত হইয়৷ উঠিল, ঠিক যেন আওয়াজের ধ্বনি । তিনি বিস্ময়ে কান পাতিয়া রছিলেন কিন্তু অতঃপর আর কোনও শব্দ শুনিতে পাইলেন না ; ঘোড়া দুইটাও এবার ভালমামুষী-লক্ষণ প্রকাশ করিল ; কোচমান বলিল, “হুজুর, গাড়ীতে উঠুন।” তিনি গাড়ীতে উঠিয়৷ বসিলে অশ্বদ্বল্প বেশ সহজভাবেই গাড়ী বহন করিয়া পৌছিয়া দিল । গাড়ীতে বসিয়াও এই বন্দুকের শব্দ স্বজন বায়ের কানে বাজিতে লাগিল আর মাথার মধ্যে কত মতলব সুরপাক খাইতে লাগিল। মাণিকতলার অ্যানার্কিষ্ট দল এখানেও একটা আডিডা করিয়াছে না কি ? র্তাহরি মনে একটা মস্ত আশা জাগিয়া উঠিল,— বুঝিলেন, কালিকাদেবা র্তাহার স্তবে সন্তুষ্ট । বাড়ী ফিরিয়া তিনি আর তখন উপরে উঠিলেন ন। সন্ধ্যা-আরতির সময় মন্দিরেও গেলেন না ! আজকাল বিজনকুমার তাহার পথ মাড়ায় না,— তাহাকে ডাকিলেই তিনি শোনেন - সে বাষ্ঠী নাই। তষ্টি তাহাকে ধরিবণর জন্ত ফাদ পাতিয়া—নীচে