পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

too o নীচে পড়িল—তিনি ওঙ্কারধ্বনি করিয়া গদগদ কণ্ঠে বলিলেন—“চল বাবা চল, এখনি নাছি— হাসি কোথা ? ডাকো তাকে ?” "সিড়িতে দেখা হয়েছে তার সঙ্গে-তিনি কাপড় ছাড়তে গেলেন, আসছেন এখনি "

  • তাকে এ সব কথা বলেছ কি ?”

“sti –” “কিন্তু বাড়ীর ভিতরে ও একবার এ খবরটা ত জানানো দরকার। আমার ত, বাবা, মুখে কথা আসছে না । তুমি গিয়ে বরঞ্চ খবরটা দিয়ে হাসিকে নিয়ে এস --অ।মি ততক্ষণ গাড়ীতে গিয়েই বসছি —” এই সময় হেমচন্দ্রের আবির্ভাব হওয়াতে এ সমস্ত সহজেই সমাধান হষ্টয়া গেল কৰ্ত্তাবাবু বলিয়া উঠিলেন,-“এষ্ট ধে হেম এসেছেন । হেম, তুমিষ্ট ভাই তl.হ’লে গিয়ে এ খবরটা বাড়ীর ভিতরে জানিয়ে এস।” ছেম বলিল -“কি খবর ?” “ওঃ, তুমি যে এগনে শোন নি, -অনাদি বণ বাবা, সব কথা হেমকে, আমি গাড়ীতে গিয়ে বলি।” গুই এক কথায় অনাদি গাসল খবর সবই হেমকে জানাষ্টয়া দিল,—শুনিয়া ষ্টেম বাড়ীর ভিতবে চলিয়া গেল, হাসি ও সাজসজ্জা করিয়া আসিয়া অনতিবিলম্বে অমাদির সহিত গাড়ীতে গিয়া উঠিল । 봉 እቶ হেম অন্তঃপুরে ঢুকিয়া প্রথমে গেল দিদিমার দালানে। সেখানে তাহাকে না পাইয়া হাসির মা’র মহলে অtসিয়া গিীর ভাড়ার ঘরের বারান্দায় মা দিদিমা দুই জনকেই দেখিতে পাইল । হাসির মা সেথানে বসিয়া তরকারী কুটিতেছিলেন, আর র্তাহার পাশে বসিয়া দিদিমা সণেশের ছানা মাখিতেছিলেন। ছেম মস্তক নত করিয়া উহাদের প্রণাম করিল। তাহাকে অসময়ে আসিতে দেখিয়া দিদিমা হাত গুটাইয়া বলিয়া উঠিলেন,—”এই যে হেমবাবু, কি খবর ?” গৃহিণী বেগুণটা ফালি করিয়া লইয়া মুখ উঠাইয়া শাশুড়ীর প্রশ্নের উত্তর শুনিবার প্রত্যাশায় নীরবে হেমের মুখের দিকে চাহিলেন। হেম বলিল —-“ভাল খবর নয়, ম৷ ” উভয়েরই মুখ অজ্ঞাত বিপদ-চিন্তায় পরিমান হইয়া উঠিল । দিদিমা বলিয়। উঠিলেন, —“রাজকুমারীর ত কোন অমুখ করে নি ? তিনি আজ এখনো এলেন ন!—তাই আগে থাকতেই আমার কেমন ভাবন হচ্ছিল ।” স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী হেম বলিল, “ন, তা নয় ; শারীরিক ভাল অjছেন সকলে---” “তবে ?” দিদিমার এই প্রশ্নে ছেম কহিল—“রাজাবাহাদ্যয় গ্রেপ্তার হয়েছেন।” “রাজাবাহাদুর গ্রেপ্তার ? কেন—-fক জন্ত ?” মা -দিদিম। --উ ভয়েই ব্যাকুলভাবে এই প্রশ্ন করিলেন । হেম বলিল,—“অভিযোগ গুরুতর - রাজবিরুদ্ধে বিদ্রোহিতার যড়যন্ত্রের Charge !” দিদিমা শুনিয়া মুছমান হইয়া পড়িলেন, হাসির মা গম্ভীরভাবে কহিলেন,—“আজকাল বিদ্রোহী হচ্ছে ত অনেকে ! কেন বাপু এ সব কায করা ? বেশ সুখে-স্বচ্ছনে রয়েছি আমরা,—কি যে সব খেয়াল ।” দিদিমা বলিলেন,—“কিন্তু রাজা ত আর এ কার্য করেন নি—এ যে মিথ্যে কথা !” হেম বলিল, “হ্যা, তা ঠিক, রাজা বিদ্রোহী নল নিশ্চয়ই--তবে তার কতকগুলা অস্ত্রশস্ত্র বিদ্রোহী ছেলেদের অর্ণ দুডায় পাওয়া গেছে—তাতেই এতটা বিপদ ।” দিদিম৷ বলিলেন, -“রাজার হাতিয়ারশাল থেকে ছেলেরা যে অস্ত্র চুরী করেছে, এ কথা ত আমরাও শুনেছি, পুলিস কি তা জামে না ?” হেম একটু হাসিয়া বলিল—“কিন্তু প্রমাণ করতে হবে ত ?” মা বলিলেন,—“যদি ধয় রাজা এরূপ প্রমাণ করতে না পারেন ? তা হ’লে ?” “ত হ’লে দণ্ড পাবেন ।” “কিরূপ দও ?” "ঠিক বলতে পারিনে—যাবজ্জীবনের জষ্ঠ দ্বীপীস্তরিত হবারই অধিক সস্তাবনা ! প্রাণদও হ’তেও আটক নেই।” # দিদিমা চক্ষু মুঞ্জিত করিয়া কাতরস্বরে বলিয়া উঠিলেন,--“ভগবান রক্ষা কর-রক্ষা কর।” হাসির মা’র ছাত হইতে বেগুণের ফালিট নীচে পড়িয়া গেল। তিনি একট। দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া নিস্তব্ধ হইয়া রহিলেন, একটু পরে, যুক্তকর মন্তকে স্পর্শ করিয়া বলিলেন, -“ভগবান আমাদের সময়ে রক্ষণ করেছেন, সৰ্ব্বপ্রাণে তাকে নমস্কার করি। আচ্ছা, তিনি যাবজ্জীবনের জন্ত দ্বীপান্তরিত হন যদি, র্তাব রাজ্য ধনসম্পদ কে পাবে ? শুনেছি নাকি রাজবিদ্রোহীদের সম্পত্তি গভরমেণ্ট বাজেয়াগু করে ?”