পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مطامی বলিলেন—“মঙ্গল হোক, দাদা, তোমার মঙ্গল হোক ৷” সুজন বলি৫োন--"তোমার আশীৰ্ব্বাদ মাথায় ধরি মহারাণি-তবে কি জান ; এ সময় অামার নিজের মঙ্গল-অমঙ্গলের চিন্তা আমি একেবারেই ভুলে গেছি। আমি কেবল ভাবছি এ বিপদ থেকে তোমাদের উদ্ধার করণ কি ক’রে ? আচ্ছ, বেীঠাকরুণ, একটা কথা জিজ্ঞাসা করি –মেরেটার কি করছ তোমরা ? এ সর্ম তার একটা হিল্পে করলে ভাল হ’ত ন ?” মহারাণী বললেন—“ত হ’ত বট কি ?” “তবে হচ্ছে না কেন ? তোমরা আমাকে পর, শত্ৰ যাই ভাব- অামি ত তোমাদের ভাবন মন থেকে তfড়াতে পারিনে । আমি ত ছেলে দিতে রাজী অাছি তোমাদের ; বিয়েট দিলেই ত হয় ।” “আমার আর তাতে অনিচ্ছা কি ভাই ! কিন্তু এ সময় ত অতুলকে ও কথা বলা যায় না ." “কেন যার না, তা ত অামি বুঝতে পারিনে । মেয়ে বড় হ’লে তাকে সৎপত্রিস্থ করা ত পিতfর কৰ্ত্তব্য । আসল কথা --অ গুল ভাবছে—শত্রুর ছেলেকে মেয়ে দেবে। কি ক’রে ? স্পষ্ট কথা দিদি —সুজন রায় স্পষ্টবাদী লোক । আবে শত্রই যদি হব।--তবে তোর বিপদে তোর অপমানে আমার প্রাণ জ্বলে কেন ? বিস্য়ের অংশীদাব হ'লে বিষয়আশয় নিম্নে অমন ঋণ চাঝ।াট হয়েই থাকে ; কিন্তু তাতে কি মনের আত্মীয় তা নষ্ট হয় ? অামি বৌঠান সরল প্রকৃতির লোক, ও রকম শক্র ভাল আমার মনে ঠাই পায় না ।” বলিয়া সুজন রায় থামিলেন ; রাজমাতাও ভাবিয়। পাইলেন না, এ কথার কি উত্তর দিবেন। গৃহ নীরবতাময় হইল। কিছু পরে স্বজন বিষভর খনখনে গসি একটু হাসিয়! আবার কছিলেন— “আমি যদি সত্যই অতুলের শক্ৰ হতুম - তা হ’লে কি আজ সে রক্ষা পেতো ?” বলিয়৷ পকেট হইতে সেই জাল চেকখানা বাহির করিয়া তাছাকে দেখা ইয়া বলিলেন, “এই যে কাগজখান দেখছ ; এ হচ্ছে —দশটি হাজার টাকার একখানি চেক ; অতুল বিদ্রোহী ছেলেদের এখনি দিয়েছিলেন, কোন গতিকে এখানা অামার হাতে এসে পড়েছে । কি ক’রে যে আমি পেলাম, সে কথা তোমাকে ব’লে কোন লাভ নেই, অতুলকে পরে বলব ; এখন এখান আমি যদি কোটে দাখিল করি, তা হ’লে কি হয় ভােব ত ! বাবাজী যে বিদ্রোহীদের পিঠ স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী পাবড়াচ্ছিলেন, এ থেকে সেটা স্পষ্টই প্রমাণ হয়ে नtश्व !” মহারাণী সভয় আগ্রহে বলিয়া উঠিলেন--"ছিড়ে ফেল ঠাকুরপো-এখনই ছেড়ে ওখান ।” "ফেলবই ত ! আমি শুধু এখন দেখাতে এনেছি তোমাকে । অতুলকে ও একবার দেখাব, না দেপলে ত সে বিশ্বাস করবে না, বুঝবে না ত আমি তার শত্রু কি মিত্র !" মহারাণী অfবার আকুলস্বরে অনুরোধ করিয়া বললেন- “বুঝবে, অতুল বুঝবে, ছেড় তুমি ভাই' কাগজখান--” g সুজন মহারাণীর অনুরোধে বিচলিত না হইয়া কাগজখান বেশ বাগাইয়া ধরিয়া বলিলেন--"একবীর কাওটা দেখ অতুলের, দশটি হাজারের চেক দিয়েছে কি না বিদ্রোহী ছেলেদের । একেবারে সৰ্ব্বনেশে প্রমাণ ।” মহারাণীর মাথা দেরালে ঝুঁকিয়া ঠক্‌ করিয়া উঠিল । তিনি মুদ্র ত-নয়নে অৰ্দ্ধ-অচেতনভাবে বলিয়া উঠিলেন—“শুiমমুন্দর, হরি চে, এ কি কাও তোমার! কি খেলা এ খেলছ তুমি আবার আমাদের নিয়ে ।” স্বজন রায় উঠিয়া তাহার মাথা তুলিয়া ধরিবা মাত্র তিনি নিজেই পুনরায় ঠিক হইয়া বসিলেন। মৃজনের নিষ্ঠুর কটাক্ষে তাহার অশ্র স্তম্ভিত হইয়া পড়িল । কোমল বাক্যে নক্সনব্যক্ত সেই কঠোরতা চাপিতে চেষ্টা করিয়া মুজন বলিলেন –“ভয় নেই মহারাণি আমি, তোমাদের শক্র নই। তবে এটা ত বোঝ, বেশী রগড়ালে ভাল জিনিষও মন্দ হয়ে ওঠে । বিশ্বাসেই বিশ্বাস অনে, আমি যে তোমাদের জন্য এত করছি, সেটা তোমাদেরও ত বোঝ} চাই ।” “বুঝছি ঠাকুরপো, বুঝছি-রক্ষা কর ভাই তুমি।” “বুঝছ কোথা ? মেয়ে দেবার বেলা বলছ—“ত হবে না’ । এতে কি মন বেগড়ায় না ? স্পষ্ট কথা আমার মহারাণি, স্বজন রায় স্পষ্টবাদী লোক । আমাকে মিত্ৰ ভাব, তোমাদের কোন বিপদ নেই— নইলে মানুষ ত আমি–রাগের মাথায় যদি কিছু ক’রে ফেলি, তখন কিন্তু দুষে না আমাকে । চন্থম এখন—একবার ভেবে-চিন্তে দেখো । অতুলকেও সব ব’লে যাই ।” রায় বাহাদুর চলিয়া গেলেন, মহারাণী অকুলচিন্তাষ মুহমান হইয়া বসিমা রহিলেন । স্লাজকন্যা আসিয়া ডাকিলেন—“ঠাকুরমা ”