পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাবিংশ পরিচ্ছেদ : ১০৭ প্রমদা ও প্রমদার মাতা “ষাট ষাট করিয়া" জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি ? कि ए'ल ?” - গদাধর কহিল, সেই রেজেস্টরী চিঠি—" এমন সময় শশিভষেণ বাটীর মধ্যে আসিয়া রাগতস্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোথায় গেল সে হতভাগাটা ?” গদাধর ভতলে পড়িয়া রোদন করিতেছেন। প্রমদা ও প্রমদার মাতা পরস্পরের মুখাবলোকন করিতে লাগিলেন । শশিভাষণ কহিলেন, "কেন ? এখন কাঁদ কেন ? যেমন কম" তেমনি ফল। এই বুঝি তোমার মামার রেজেন্টরী চিঠি ? তুই আপনিও গেলি, আমার নামেও কলংক দিয়ে গেলি।” & প্রমদা ও প্রমদার মাতা শশিভষণের কথায় অত্যন্ত রাগ করিলেন । গদাধর যে দোষ করিয়াছে, সে কিছুই নয় । কিন্ত শশিভষণের ককাশ কথা তহিদের নিকট অত্যন্ত অন্যায় বোধ হইল। প্রমদার মাতা সকরণ সবরে প্রমদাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “দেখ দেখি বাছা, আমি বলেছিলাম, ‘প্রমদা, আমাদের নিয়ে যাচ্ছ বটে, কিন্তু শেষকালে অপমান হয়ে আসতে হবে।’ দেখ দেখি, এখন তা সত্যি হ’ল কি না ?” তুমি বলেছিলে, ‘মা, আমার বাড়ী, আমার ঘর, কে তোমাকে অপমান করবে ?" প্রমদা কহিলেন, “আর সে কথায় কাজ কি ? আদেটি ছাড়া ত পথ নেই ?" শশিভাষণ কহিলেন, “এখন অদটের কথা রেখে দাও । যদি গদাকে বাঁচাতে চাও, তবে ওরে একখানা শাড়ী পরাও, আর কেউ জিজ্ঞাসা করলে তোমার ভগ্নী ব’লৈ পরিচয় দিও। আমি সদর দরজায় চললাম, সেখানে দারোগা এসেছে " শশিভষেণ বাহির-বাটীতে আসিলে দারোগা বাব কহিলেন, “আপনার বাটীতে আসামী আছে। হয় বাহির করিয়া দিন, নচেৎ আমরা খানাতল্লাসি করবো।" শশি । মহাশয়, হিসেব ক'রে কথা কবেন। এ ছোট লোকের বাড়ী নয় । আপনারা যে যাবেন, যদি আসামী না পান তখন কি হবে ? দারোগ বিধ ভাষণের দিকে চাহিলেন । বিধ কহিলেন, “এই বাড়ীতেই আসামী আছে ।” শশিভাষণ আরক্ত নয়নে বিধ ভাষণের দিকে চাহিলেন । বিধভষেণ কিছ: বলিনে না । পরে সকলে বাটীর মধ্যে প্রবেশ করিলেন । কিন্ত কোন স্থানেই গদাধরকে দেখিতে পাইলেন না । তখন বিধুভুষণ কহিলেন, “একবার রান্নাঘরটা দেখা যাউক ।" দারোগা কহিলেন, "হাঁ, উচিত বটে " এবং শশীবাবকে কহিলেন, "আমরা এইখামেই দাঁড়াই, পরিবারদিগকে আমাদের সন্মখ দিয়া যাইতে বলন।" শশিভাষণ প্রথমতঃ আপত্তি করিলেন, কিন্ত দারোগা বাব কোন মতেই শুনিলেন না । সুতরাং শশীবাব পরিবারদিগকে লক্ষ্য করিয়া কহিলেন, “তোমরা এক এক ক’রে বাহির হয়ে যাও।” প্রথমতঃ প্রমদা, পরে সতীর্যপী গদাধর, সবশেষে প্রমদার মাতা বাহির