পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণলতা : ১০৮ হইলেন । বিধ্যভাষণ গদাধরের দিকে অগ্ৰগলি নিন্দেশ করিয়া দেখাইয়া দিলেন । দারোগা শশিভীষণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “মধ্যে যিনি যাচ্ছেন, তাকে থামতে বলন । উনি কে ?” শশিভাষণ উত্তর করিবার অগ্রে প্রমদার মাতা কহিলেন, ও আমার বড় মেয়ে গদাধরচন্দ্র ।” দারোগা শনিয়াই একজন কনটেবলকে কহিলেন, “পাকড়াও " গদাধর অমনি "ঐ ঢরলে ডিডি বলিস্থ দৌড়িয়া ঘরে প্রবেশ করিলা কনস্টেবল পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিয়া গদাধরকে ধত করিল। গদাধর যথাক্রমে থানা ও মেজেটের পার হইয়া সেসন জজের নিকট হইতে ১৪ বৎসর কারাবাসের আদেশ পাইলেন । গদাধরের শাসিত হইল বটে, কিন্ত তাহাতে বিধভষেণের মনে কোন শান্তি হইল না। তাঁহার আর ও-বাটীতে থাকিতেও ইচছা রহিল না । তথায় যে সমস্ত কষ্ট পাইয়াছিলেন, তাহাই নিয়ত তাঁহার স্মরণ হইয়া পনরপি তাঁহাকে সেই সমস্ত কট সহা করিতে হইত। যে কিছু সুখভোগ করিয়াছিলেন, তাহা দুঃখে পড়িয়া একেবারে বিস্মত হইয়া গেলেন । তাঁহার সঞ্চিত অথ"ও ক্ৰমে শেষ হইতে লাগিল । নানা প্রকার চিন্তা করিয়া, শ্যামা ও গোপালকে লইয়া পুনরায় কলিকাতায় আসিলেন । আসিয়া গোপালকে এক বাটীতে রাখিয়া দিলেন । তথায় রন্ধনাদি করিবে ও ডফ সাহেবের সকলে পড়িবে । শ্যামাও সেই বাটীতে দাসী হইল । বিধ ভাষণ ভাবিলেন,—এখন আমি কি করি ? পাঁচালির দলে গেলে টাকা হয় বটে, কিন্তু কমটি বড় হেয় । এই প্রকার ভাবিয়া তিনি আর যাত্রার দলে না গিয়া একজন ডেপুটী কলেক্টরের সহিত ঢাকা জেলায় গমন করিলেন । উনত্রিংশ পরিচ্ছেদ নীলকমল নীলকমল বিধভষেণের সহিত একত্র অসিয়া সে রাত্রি বিধভষেণের বাটীতে ছিল । পরদিবস প্রাতে আর কেহ না উঠিতে উঠিতে তথা হইতে চলিয়া গেল । রামনগরের নিকটএক মহকুমা আছে, তথায় গিয়া এক জোড়া ধতি ও চাদর খরিদ করিল। এবং বাজার অতিক্ৰম করিয়া কিঞ্চিং দরে গিয়া সেই ধৃতি ও চাদর পরিধান করিয়া আবার চলিতে আরম্ভ করিল । নীলকমলের বহ কালের অাশা ফলবতী হইল । নীলকমল দু-এক পা যায়, আর আপনার পরিচ্ছদের উপর দটি করে । এইরুপে গমন করিতে করিতে বেলা এক গ্রহরের সময় বাটী গিয়া উপস্থিত ইহল । নীলকমলের সবর শনিয়াই নীলকমলের মাতা ও দুই ভ্রাতা আসিয়া নীলকমলকে ঘেরিয়া দাঁড়াইল । কৃষ্ণকমল ও রামকমলের চক্ষ দিয়া জল পড়িতে লাগিল । তাহাদিগের মাতা উচ্চৈঃস্বরে কাঁদিয়া উঠিল । নীলকমল বাটী হইতে