পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ : ৭ গোপাল মাতার সকন্ধে শিরঃস্থাপন করিয়া চপ করিয়া রহিল। তদশ'নে সরলা তাহাকে কথা কহইবার জন্য চেস্টা করিতে লাগিলেন এবং তাহাকে হাসাইবার জন্য নিজেও হাঁসিতে লাগিলেন । সন্দেরী যুবতীর সাশ্র নয়নে হাসি যে একবার দেখিয়াছে, সে কখনও ভলিতে পারবে না। সোনার গাছে মুক্তাফল, এর সহিত কি তুলনা হইতে পারে ? চতুর্থ পরিচ্ছেদ সোনার চন্দ্রহার পিতা মাতার সদগণ সন্তানে সর্বদা বত্তে না বটে, কিন্তু তাহারা দোষের ভাগ সচরাচর সদ সমেত প্রাপ্ত হয় । পিতা পত্র উভয়েই পণ্ডিত অতি বিরল, কিন্তু উভয়েই চোর, এরপে প্রায়ই দেখা গিয়া থাকে । গ্রমদা তাহার এক উদাহরণস্থল । তহিীর পিতার নাম রামদেব চক্ৰবৰ্ত্তী ৷ বাটী শশিভাষণের বাটীর অতি নিকটে । দ্বেষ, হিংসা, কলহপ্রিয়তা ইত্যাদি কতকগুলি রামদেব চক্ৰবৰ্ত্তীর বংশের দোষ, তাঁহার বংশের কন্যা যে-পরিবারে গিয়াছে, সেই পরিবারেই বন্দৰ কলহের ভদ্রাসন হইয়াছে। প্রমদ। এই পৈতৃক সম্পত্তির সম্পণে অংশই প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, কিন্তু তাঁহার পিতার যে সরলতা একটি গণ ছিল, তাহার লেশ মাত্রও পান নাই । তাঁহার পিতার অবস্থা ভাল ছিল না। বিবাহ হওয়া অবধী প্রমদা দটি একটি টাকার মুখ দেখিতে আরম্ভ করিলেন । ক্ৰমে ক্ৰমে যখন শাশুড়ীর মৃত্যুর পর গহের একমাত্র কত্রী হইলেন, তখন তিনি আর পথিবীকে তণজ্ঞানও করিতেন না । পাবে বলা গিয়াছে, বিধভষণ কোন কাৰ্য্য কাম করিতেন না । কিন্ত সরলার নিকট হইতে প্রমদা তাহার বিলক্ষণরপে ক্ষতি-পরণ করিয়া লইতেন । প্রমদা নিজ গহ হইতে কখনই বাহির হইতেন না। রন্ধনাদি এবং গহকাষ" সমুদায়ই সরলাকে করিতে হইত। যদি কেহ কখন এ বিষয় লইয়। প্রমদকে কিছ: বলিত, প্রমদা অমনি বলিতেন, “কিই বা কাজ যে, তা নিয়ে এত কথা জন্মে, আমার যদি ব্যামো না থাকতো, তা হ’লে এ কাজ দেখতে দেখতে ক’রে ফেলতে পারতাম।” প্রমদা যখন-তখন এই পীড়ার কথা কহিতেন । পীড়টি কি, তাহা বলা দুঃসাধ্য। কারণ সে পীড়াবশতঃ প্রমদাকে এক দিনও উপবাস করিতে দেখা যায় নাই, শরীর কখন ক্ষীণ হয় নাই, বরঞ্চ উত্তরোত্তর প্রস্ট দেখা যাইত। পীড়াটির এই এক লক্ষণ মাত্র জানা আছে যে, সকালে সকালে আহার না হইলে অত্যন্ত বধি হইত। পাঠকবর্গ এখন বঝন, এ কোন পীড়া। বৈকালে মনোহারীর দ্রব্যাদি লইয়া প্রমদা ও সরলার যে কথোপকথন হয়, তাহা পাঠকগণ অংগত আছেন। সরলা বাটী আসিয়া যাহা করিয়াছিলেন, তাহাও জানিতে পারিয়াছেন। অতঃপর প্রমদা কি করিলেন, শ্রবণ করন। * স্বভাবতঃ যেরপে পদধ্বনি করিয়া থাকেন, তদপেক্ষা দশগণ অধিক শব্দ