পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/১৪৫

সপ্তক্রিংশ পরিচ্ছেদ : ১৩৯ শশাংক । অত ব্যস্ত হইও না। এ সব ব্যতের কাজ নয়। আমি যা বলি, মনোযোগপ বক শোন। সেই পাজার পর যখন আমি গেলাম, তখন বিপ্রদাস কহিল, "মহাশয়, আমার কোন অপরাধ নাই। আমি নিজে বন্ধ লোক ; এখন উপযুক্ত পত্রের কথা না-শোনা ভাল নয়। হেমের কোন মতেই ইচ্ছা নয় যে, আপনার প্রস্তাবিত কম করা হয় ।” হরিদাস । তার পর । শশাংক । তার পর ত তুমি জানই । কত স্থান হ'তে সম্মবন্ধ এক্স, কত পথান হতে ফিরে গেল। বিপ্রদাসের ইচ্ছা এই পাত্রটির আর কোন গণ থাকে নাথাকে, ঐশ্বয থাকলেই হ’ল। আর ইংরাজিতে দু-চারটা কথা বলতে পারলেই হ’ল । আজকাল যে সকলেরই দালান গোত্র ইংরাজি গাই চাই । হরিদাস । আমার ছেলে ইংরাজিও জা ে আমার বাড়ীতে দালানও আছে, তবে আমার ছেলের সহিত হ’ল না কেন ? শশাংক । হাঁ, যা বলছে যথার্থ । কিন্তু আমি পাবেই ত বলেছি, এতে বিপ্রদাসের ইচ্ছা ছিল । কিন্ত বিপ্রদাস এমনি পত্রবৎসল যে, সেই পত্রটির কথাতেই ভলে গেল। তাহার মত এই, সবণের টাকার ভাবনা নাই । বাপের মৃত্যুর পর যে ধনের উত্তরাধিকারিণী হবে, তাতেই যথেষ্ট । কিন্ত পারটির লেখাপড়া ভালমতে জানা চাই ও দেখতে শুনতে ভাল হওয়া চাই । হরিদাস । তাতেও ত আমার ছেলে ফেলা খায় না । ইংরাজিতে বি. এ. পাস করেছে, দেখতে শুনতেও দশটির মধ্যে একটি । শশাঙ্ক একট হাসিয়া কহিলেন, “সে তোমার চক্ষে । যদি সকলেই তোমার চোক দিয়ে দেখতো, তা হ’লে আর তোমার ছেলের ভাবনা কি ?" হরিদাস কিঞ্চিৎ রাগত হইয়া কহিলেন, "কেন, কেন ? আমার চক্ষে কেন ?" শশাঙ্ক কহিলেন, “চোটো না । চটবার প্রয়োজন নাই, আমরা যে-কাজ হাতে নিয়ে বলেছি, ব্যস্তসমস্ত কিবা চটচটি করলে এ সমাধা হবার না । তোমার ছেলে মন্দ, তা আমি বলছি না । সে যে দশটির মধ্যে একটি, তাও মিথ্যা নয়। পথিবীতে কত করে;প আছে, তা বলা যায় না। তাদের মধ্যে ছেড়ে দিলে, দশটি কেন, হয় ত ৫ofটর মধ্যে তোমার ছেলে একটি হ’তে পারে।" এই সময় আবার হরিদাসের চক্ষ গরম দেখিয়া শশাঙ্কশেখর কহিলেন, "চোটো না। এ চটবার কাজ নয়। আর যা বলি, মনোযোগ ক’রে শোন ।” হরিদাস কহিলেন, “আচ্ছা, বলো বলো ।” শশাঙ্কশেখর পনবার আরম্ভ করিলেন, “হেমের মত ছিল, যেটির সঙ্গে বিবাহ দেয়, সেটির কাছে তোমার পত্রে বানরটি " হরিদাস রাগত হইয়া কহিলেন, "মহাশয়, বিবেচনা ক'রে কথা কবেন ।” শশাঙ্কশেখর কহিলেন, “আমি অবিবেচনার কোন কথা বলি নাই । তুমি সেই ছেলেটিকে দেখ নাই, সেই জন্য এমন কথা বলছে । আমি তাকে দেখেছি।