পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ : ১১ বুঝতে পার না । বিধটিকে বড় সহজ লোক জ্ঞান ক’রো না । বৈঠকখানার উপর ওর এত যত্ন কেন, তা ত জান না। ও কি বৈঠকখানা হ’লে তোমার যে ভাল হবে, তার জন্য বলে ? তা নয় ও ত এখনও পাড়ায় থাকে, তখনও পাড়ায় থাকবে । তবে কি না বৈঠকখানা হ'লে তার ভাগ পাবে, আমার গয়না হ’লে ত পথক হবার সময় তার অংশ পাবে না । প্রমদা যে শশিভষেণকে বোকা বলিতেন, সেটি বড় মিথ্যা কথা নয় ; বস্ততঃ এ-সব বিষয়ে তাঁহার বন্ধি তাদশ ঘুরিত না । কি প্রকারে প্রজাদিগকে কষ্ট দিয়া পয়সা আদায় করিতে হয়, এবং উহার জমা খরচ রাখিতে হয়, তাহাই বুঝিতেন । এক্ষণে প্রমদা যাহা বলিলেন, তাহা ইন্টমন্ত্রের ন্যায় সত্য জ্ঞান করিলেন । মনে করিলেন, হাঁ, এত দিনের পর বুঝতে পারলাম । এই জন্যই ভায়া আমায় যখনতখন সব কায্যের আগে বাড়ীটি সম্পণ করা ও বিষয়-আশয় করার পরামর্শ দেন ; আর স্ত্রীর গয়না দেওয়া আর টাকা জলে ফেলে দেওয়া সমান ব'লে থাকেন । এত দীর পয্যন্ত মনে মনে করিয়া প্রকাশ্যে কহিলেন, “তুমি ঠিক কথা বলেছ। আমি যদি আগে জানতে পারতাম, তবে একখানিও ইট প্রস্তুত করতাম না।” প্র । তুমি ত আমার কথা শন না, জিজ্ঞাসাও কর না। তুমি মনে মনে ভাবো, তোমার ভাইটি যেমন রামের ভাই লক্ষণ । কিন্ত: ওটি যে ভরত, তা ত डीन क्षा ! শ। বৈঠকখানা ঐ পয’ত থাকলো, দেখি কে করে ? আর কি বলছিলে ? গিন্নীর কথা কি বলছিলে ? প্র । বলতেছিলাম—গিন্নীটি কত্তাকে হারান, তাঁর মুখের কাছে দাঁড়ায় কার সাধ্যি ? তাঁর সধবাতোভাবে যত্ন, কিসে আমাকে আর তোমাকে অপমান করতে পারেন । শ। কি, আমাকে অপমান ? যারই খাবেন, তারই বদনাম করবেন ? প্র । সে কথা বলে কে ? & শ। কি, কি অপমানের কথা বলেছে বল ত ? প্র । বাকিই বা কি রেখেছেন ? তুমি শনলে প্রত্যয় করবে না ; আজ একজন মনোহারী দোকান নিয়ে এসেছিল । বিপিন কামিনী ছাড়ে না, তাই ওপাড়ার দিগম্বরী ঠাকরণদিদির কাছ থেকে দটি পয়সা ধার ক'রে ওদের দুটি বশিী কিনে দিলাম । ছোট গিন্নী তাই দেখে রাগ ক’রে, সেখান থেকে চলে এসে, গোপালকে ডেকে নিয়ে একটা বশিী দিলেন । দাম দেবার সময় বললেন, "দিদি, আমাকে একটা পয়সা ধার দাও, আমি সদ দেবো।" আমি বললাম, "এক পয়সার আবার সদ কি ভাই আমি ত জানি না।" ছোট বউ বললেন, “চিরকাল মহাজন করছো, জান না কেন ?" আমি শনে অবাক হয়ে থাকলাম । ছোট বউ তার পর যা মুখে এল, তাই বললে ।