পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ : ১৭ হইতে লাগিল, তাঁহার ততই আমোদ বাড়িতে লাগিল । সকালে সকালে চারটি আহার করিতে বাটী আসিলেন । কিন্তু রান্না হয় নাই দেখিয়া “আজ আমি যাত্রা শনিব" এই মাত্র সরলকে বলিয়া ফিরিয়া গেলেন । বাটীতে যে গোলযোগ হইয়া গিয়াছে, সরলা সে বিষম তহিকে কিছু মাত্র বলিবার অবকাশ পাইলেন না । বাটী হইতে ফিরিয়া গিয়া দেখিলেন, যাত্ৰাদলের প্রধান বাদ্যকরের ওলাউঠা হইয়াছে। এ জন্য যাত্রাওয়ালারা সে রাত্রে গান বন্ধ করিয়া রাখিবার প্রস্তাব করতেছে । কিন্তু এ দিকে সমস্ত নিমন্ত্রণ করা হইয়াছে । উপায় কি, কেহ স্থির করিতে পারিতেছে না । বিধ কহিলেন, “বাজনার জন্য ভয় নাই, আমি নয় বাজাব।” উপস্থিত যাহারা ছিলেন, সঞ্চলেই এই প্রস্তাবে মূক্ত দিলেন । বিধর আনন্দের আর সীমা রহিল না । to নিয়মিত সময়ে মাত্রা আরম্ভ হইল । যাত্রাওয়ালরা মনে করিয়াছিল বাদ্যের দোষবশতঃ প্রাপ্তি দুরে থাকক, লজ্জা পাইতে হইবেক । কিন্ত দুই একটা গান সমাপ্ত ন হইতে হইতেই তাহারা বুঝিতে পারিল যে, তাহারা অকারণ ভয় পাইন্নাছিল । বিধার বাজন। তাহদের নিজ বাদ্যকর অপেক্ষা সহস্র গুণে উৎকুণ্ড, সুতরাং তাহাদের ভর ঘুচিয়া উৎসাহ হইল । এবং যেরপে প্রত্যাশা করিয়াছিল, প্রাপ্তি সম্বন্ধে তাহার দশগণ ফল লাভ হইল । - যাত্রা ভাঙ্গিয়া গেলে যাত্রাওয়ালারা তহিকে কিgৎ লাভের অংশ দিতে চাহিল। কিন্তু বিধ ভাষণ তাহা গ্রহণ করিলেন না । হল্টচিত্তে বাটী ফিরিয়া আসিতেছেন, এমন সময় রাস্তায় শ্যামার সহিত দেখা হইল। শ্যামা, গান শেষ পৰ্য্যন্ত উপস্থিত ছিল । বিধ:ভ,যণ জিজ্ঞাসা করিলেন, “শ্যামা, তুই কোথার किल्लाझिळि ?" শ্যা । আপনাকে ডাকতে গিয়েছিলাম । কিন্তু আপনি সে গোলের মধ্যে বসে বাজাচ্ছিলেন দেখলাম, আমার সেখানে যেতে ভরসা হ’ল না । “ভয়ই বা কি ?" “সেখানে যে লোক ?" “লোকে কি তোকে ধ’রে খেত ? তই ত আর পাকা অবিটি নোস যে, তোকে পেলেই ধরবে ?"

  • আপনার ঐ এক রকম কথা । আমি কি বলছি অামি পাকা অবি ?” বিধ । আমার এই রকম কথা। আমি রোজই তাই বলি, কিন্ত তই ত তার জবাব আজও দিলি নে ।

“যাও, আমি তোমার ও সব কথা শুনতে চাই না । ( উভয়েই বাটীর কাছে আসিয়াছে ) যে চায়, তাকে গিয়া বলো ।" “সে কে শ্যামা ?" "বাটীর ভিতর গিয়া দেখ, যে আমাকে ঘুম থেকে তলে তোমাকে ডাকতে পাঠালে।” শৰণ লতা-২