পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/২৯

अहेश *ब्रिह्छा : २७ কখন এরুপ দরবন্থাতে পতিত হইবেন । পাঠকবগ ! বক্ষমলে আমাদিগের পৰ্বপরিচিত বিধ ভাষণ, তাহা কি আর বলিবার প্রয়োজন আছে ? কিন্তু আপনারা যদি তাঁহাকে পাবে দেখিতেন এবং পরে বক্ষমলে তাঁহার সহিত দেখা হইত, তাহা হইলে এ ব্যক্তি যে সে-ই, তাহা কখনই বুঝিতে পারিতেন না । বিধভষেণের আর পাবে'র মতন বেশভাষা নাই, তেমন ভাব ভংগী নাই, সে প্রফল মুখমণ্ডল নাই, সে মহামহে হাসি নাই, পাবে'র কিছুই নাই—সকলই গিয়াছে। কিন্ত তাহা বলিয়া আপনারা বিধকে ঘৃণা করিবেন না। এখনও বিধরে যাহা আছে, বোধ করি, তাঁহার ন্যায় দুরবস্থায় পড়িলে অনেকের থাকে না । বিধর অন্তঃকরণের সারল্য কোথাও যায় নাই । এত দুঃখেও তাঁহার নিন্মলি চরিত্রে কোন মলিনতা সপশ করে নাই । বিধভাষণ বক্ষমলে বসিয়া চিন্তা করিতেছেন, “কোথায় যাই ? কার কাছে আমার দুঃখ জানাই ? কেই বা আমার কথায় বিশ্বাস করবে ?” বিধ শশিভষণের সহিত পথক হইয়া দিনকতক বচ্ছদে ছিলেন। পরে যখন দোকানে ধার বন্ধ হইল, তখন বন্ধবেগের নিকট কজে ধরিলেন । দিনকতক পরে তাহাও দম্প্রাপ্য হইল । তখন আঞ্জ ঘটিটি, কাল গহনাখানি, পরদিবস ভাল জামাটি বিক্ৰয় আরম্ভ করিলেন । ক্ৰমে ক্ৰমে প্রত্যহ দ-সম্পধ্যা আহার বন্ধ হইল । পরিবার চারটি ; নিজে, সরলা, গোপাল ও শ্যামা। পথক হইবার সময় শ্যামা বিধভষেণের দিকে আসিয়াছিল । এক সন্ধ্যা আহার করিয়াও তাহার সরলার সহিত থাকিবার পাহা নিবত্তি হয় নাই ! এক দিবস মলিন বসন প্রযুক্ত বিধভষেণ বাহির হইতে পারেন না । শ্যামাকে ধোপার বাড়ী পাঠাইয়া দিলেন । কাপড় আসিলে পরিয়া আহার অন্বেষণে যাইবেন । ধোপা বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করিয়াই প্রমদাকে দেখিতে পাইল । দেখিয়া ক্ষণকাল তথায় দাঁড়াইয়া রহিল। প্রমদা জিজ্ঞাসা করিলেন, “রামধন, কার কাপড় " রজকের নাম রামধন । রজক উত্তর করিল, "ছোটবাবর কাপড় ময়লা হয়েছে, বেরতে পারেন না, তাই তাড়াতাড়ি এই একখান ধতি, আর একখানা চাদর সাঁজ করে আনলাম।" প্রমদা কহিলেন, "কাপড় অভাবে বেরতে পারেন না, তব বাব, আর বেশী থাকলে না জানি আরও কি পদবী হ’ত ” রজক । সে সব আপনারা জানেন, আমি তার কি বলবো ? প্র । রামধন, কত ক’রে মাইনে পাও ? রজক । বছরে পাঁচ টাকা হিসাবে দেবার কথা আছে। প্র । দেবার কথা আছে । আজও পাও নি ? রজত। কৈ আর পেলাম ! আজ কাল ক'রে এই এক বছর হ’ল । এই সময়ে ধান চাল সন্তা ছিল, টাকাকড়ি পেলে কিছু কিনে রাখতাম । বাই, আজ আবার চাই গে, দেখি কি বলেন । প্র । চাবি, না আদায় করবি ?