পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ : ২৫ সরলা । তহে থেকে থেকে অজ্ঞন হোস, এখন জাগলে সে যখন খাব খাব করবে, তখন কি দিবি ? - শ্যামা । আমি তার জোগাড় ক'রে এসেছি ।--এই বলিয়া শ্যামা কতকগুলি কলা ও শশা কাপড়ের ভিতর হইতে বাহির কলি । সরলা জিজ্ঞাসা করিলেন, “শ্যামা, এ কোথায় পেলি ?" শ্যামা । তাতে তোমার কাজ কি ? যখন ঘরে কিছল না থাকিত, শ্যাম পাড়ায় গি। কার বাড়ী কোন কম কাজ করিয়া আসিবার সময় কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ আহারীয় দ্রব্য আনিত । এইরপে বিধভষেণের ঘরে কিছু না থাকা সত্ত্বেও গোপালকে কখন উপবাস করিতে হয় না । এবং সময়ে সময়ে সকলেরই খাবার অনিত। যদি কাহারও বাটী কিছ: না পাইত, তাহা হইলে শ্যামা পৰেব'র পশ্চিত বেতন কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ খরচ করিত। গোপালের উপর শ্যামার স্নেহ দেখিয়া সরলা কহিলেন, “শ্যামা, তুমিই যথাথ গোপালের মা ।” শ্যামা হাসিয়া কহিল, "তবে তমি কি হবে ? গোপালের পিসি ?" সরলা সাশ্রনয়নে ঈষৎ হাস্য করিয়া কহিলেন, “শ্যামা, ও আমার গভেf হয়েছিল বটে, কিন্ত তুমিই ওকে বাঁচালে।" শ্যামার সরল হৃদয় একেবারে দ্রব হইয়া গল । উভয়ে সজল নয়নে গোপালকে গিয়া জাগাইলেন । বিধভষেণ বস্ত্র পরিধান করি: রাজবাটী গেলেন । যে বাব বিধকে সাহায্য করিবেন বলিয়াছিলেন, তিনি আহার করিয়া নিদ্রা যাইতেছিলেন । যে সমস্ত ভৃত্যু নিকটে ছিল, তাহাদিগকে বাবর নিকট খবর দিতে কহিলেন । কিন্ত. কেহই বাবকে সাগাইতে ভরসা করিল মা ! তাদের মধ্যে এক জনের নাম রামা । বিধুভুষণ তাহাকে, আর আর দু এক জন অপেক্ষা একটা ভাল মানুষ জ্ঞানে কহিলন, “রাম, আজ আমার আহায় হয় নাই । বাবকে যদি খবর দাও, তবে বিশেষ উপকার হয়।" রামা কহিল, “তুমি ঠাকুর একেবারে যে বির করেই মারলে ?" বিধ কহিলেন, “রাম, আজ আমার আহার হয় নাই ।” রাম । তোমার আহার হয় নাই, তা আমার কি ? অমন কত লোকের আহার হয় না, আর একটি পয়সা পেলেই শুড়ীর দোকানে যায় । বিধ ঈষৎ রাগ করিয়া কহিলেন, "হাঁ রে, আমাকে দেখে কি মাতাল গলিখোর ব’লে বোধ হয় ?" রামা কহিল, "তার আমি কি জানি : এখন বকাইও না ঠাকুর, গরজ থাকে ঐখানে বসে থাক। যখন বাব উঠবেন, তখন দেখা হবে । এখানে চোকরাঙনি ভাল লাগবে না। তোমার ত কেউ চাকুর এখানে নয়।" রামার মিট কথা শুনিয়া বিধুভুষণের সমরণ হইল, আর সে কাল নাই। ছল