পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هت : x \sq<s* আমি কোন যাত্রার দলে কাজ নিতে চেষ্টা কর। পাবেই, তার সন্দেহ নেই। আর তত দিন আমরা ঘরে থেকে এই টাকায় চালাই । এর পর সচ্ছল হয়, আমায় টাকা দিও । দিলে গোপালেরই থাকবে । শ্যামার সকরণ বচনে সরলা ও বিধ উভয়েই দুব হইয়া গেলেন এবং তাহারই পরামর্শ কৰ্ত্তব্য সিথর করিলেন । পরদিবস প্রাতে শ্যামার টাকা হইতে রাস্তার খরচ স্বরুপ পাঁচ টাকা লইয়া বিধভষণ বাট হইতে বহির্গত হইলেন। কলিকাতায় যাইবেন স্থির করিয়া কলিকাতার রাস্তা ধরিলেন এবং মধ্যাহ্নকালে বিশ্রাম হেত হাঁসখালির নিকটবৰ্ত্তী গাছতলায় বসিয়া ভাবতেছিলেন—"বাদ্য গীত ভাল বটে, কিন্ত যাত্রার দলে থাকাটা বড় নীচ কৰ্ম্ম ।" বিধ ভাষণ চিন্তা করিতেছেন, অন্য কোন উপায় অবলম্বন করিলে জীবিকা নিবহি হইতে পারে কি না, এমন সময় এক পথিক তথায় উপস্থিত হইল । নবম পরিচ্ছেদ মিত্র লাভ পর্বে অধ্যায়ের শেষে যে পথিকের কথা বলা হইয়াছে, সে কৃষ্ণবণ দীঘকিার, অপেক্ষাকৃত কৃশ । বয়স ৩২৩৩ ; বাম করে তামাকসাজা কলিকা সহ হকা, বাম স্কন্ধ হইতে একখানি ময়লা বসন্ত্রাবত একটি বেহালা ঝলান, দক্ষিণ করে একগাছি তলতা বাঁশের ছড়ি, পায়ে জুতা নাই, একখানি মলিন বস্ত্র পরিধান । কটিদেশ হইতে দলা পয’ত অনাবত, মস্তকে চাদর একখানি পাগড়ি করিয়া বাঁধা, কোমরে একটি ক্ষুদ্র বেচিকা। এই অবস্থায় পথিক যখন বিধভষণের নিকট গিয়া ছড়িগাছি রাখিয়া বসিল, তখন তাহার কলেবর উত্তম কালিতে লেখা একটি জীবিত ঙয়ার নায় শোভা পাইতে লাগিল । বিধুভুষণ অনন্যমনে নিজের অবস্থার বিষয় চিন্তা করিতেছিলেন, সতরাং পথিক অগ্রসর হইয়া যে তাঁহার নিকটে আসিয়া বসিয়াছে, তাহা তিনি জানিতে পারেন নাই। কিন্তু হঠাৎ হংকার টান শুনিয়া সেই দিকে চাহিলেন । তাঁহার বোধ হইল, যেন পথিক ব্যক্ষ হইতে সেই দন্ডে নামিয়া আসিল । চমকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—“তুমি কে ?" বিধভষেণ ভয় পাইয়াছেন বুঝিয়া পথিক উত্তর করিল, “আমি মানুষ, ভয় কি ? ব্লামার মা যে বলেছিল, রাত্রে নদী পার হয়, দিনের বেলায় কাগের ডাকে মছিা যায়, তমি যে তাই হ’লে ৷ একা বিদেশে আসতে পার, আর মানুষ দেখে ভয় পাও ?” বিধ্যভাষণ পথিকের কথা শুনিয়া হাস্য করিয়া কহিলেন, “ঠিক কথা, কিন্তু আমি ত ভয় পাই নাই। তোমার নাম কি ?” পথিক উত্তর করিল, “আমার নাম নীলকমল, বাড়ী রামনগর, কালাচাঁদ