পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণলতা ; ৩৬ মদীর সন্ত্রীর কথা শুনিয়া বিধভষেণের সন্বষ্টিগ রাগে জলিয়া উঠিল । রাগতবরে কহিলেন, “আমি যদি সব করবো, তবে এখানে এসে আমার লাভ কি ?” মদীর সত্ৰী মিষ্টি মিটি করিয়া কহিল, “এখানে কোন লাভ না হয়, যেখানে হয়, সেইখানেই বাও । আমি ত তোমার বাড়ী থেকে তোমাকে ডেকে আনতে যায় নি।” বিধভষণ দেখিলেন, এ তাঁহার নিজের বাটী নহে। রাগ করিলে এখানে কেহই তাঁহার রাগ গ্রাহ্য করিবে না। মনের আগন মনে রাখিয়া একট কাঠ-হাসি হাসিয়া রসিকতাছলে কহিলেন, “অত চটলে চলবে কেন ! তুমি চটলে এখন আমরা দাঁড়াই কোথা." তাহার কথা শেষ হইতে না হইতেই মদীর সত্ৰী তাঁহার রসিকতায় বিরক্ত হইয়া উত্তর করিল, “আর তোমার পিরিতে কাজ নাই, খোতা নিয়ে উন্ন কেটে রোধে খেতে হয় খাও, না হয় এই বেলা জায়গা দেখ ।" বিধরে আর বরদাস্ত হইল না। রাগত হইয়া উচ্চৈঃস্বরে কহিলেন, “তুই ভেবেছিস, এই দোকান ছাড়া বুঝি আর দোকান নাই । চললাম তোর এখান থেকে ” এই বলিয়া ব্যস্ত হইয়া বাহির হইবেন, এমন সময় মদী বাটী আসিল, এবং মাথার দোকান নামাইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “তোমরা কিসের গোলমাল করছো ?” মদীর সত্ৰী কহিল, "ঐ দেখ, কোথাকার এক খন্দের এসেছে ; যেন নবাব আর কি, আপনার উন্ন আপনি কেটে রে’ধে খেতে পারবে না ।" মদী বিধর দিকে ফিরিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “তোমরা আপনারা ?" বিধ কহিলেন, "ব্রাহ্মণ ।” মদী । ব্রাহ্মণ, প্রণাম । আচছা, আমি উন্ন কেটে দেব এখন । ব’সে ঠাকুর ব'সো । বিধভষেণ বসিলেন । গোলমাল থামিলে নীলকমল বলিয়া উঠিল, “মদিনীর আবার জাঁক দেখ । না দেয় জায়গা, না দেয় আসন, এখনি আমরা অন্য দোকানে যাব।” কিন্তু এ কথা পবে বলিতে ভরসা হয় নাই । যে দুটি ব্রাহ্মণের জন্য মদীর স্ত্রী এত ব্যস্তসমস্ত হইয়া উদ্যোগ করিয়া দিতেছিল, তাঁহারা অল্পবয়স্ক : ১৯২০ বৎসরের বেশী নহে, উভয়েই ব্রাহ্ম । এই গোলযোগের সময় তাহারা উপাসনা করিতেছিলেন । অথাৎ একজন অতি মদ স্বরে ঈশ্বরের মহিমা কীৰ্ত্তন করিতেছিলেন । তাঁহার মদিত নেত্র হইতে অশ্রদ্ধারা বহিতেছিল । আর একজন হেট মুণ্ডে একবার মদিনীর দিকে সতৃষ্ণ নয়নে— আর একবার নিজ সঙ্গীর দিকে সভয় নেত্রে দটি নিক্ষেপ করিতেছিলেন । ব্ৰহ্মজ্ঞানরপে স্বগীয় অগ্নি সকলেরই হৃদয়ে প্রচ্ছন্নভাবে নিহিত আছে বটে, কিত দুঃখের বিষয় এই যে, ব্রহ্মজ্ঞানীরা কে’দে কে’দে চক্ষের জল দ্বারা সে