পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ : ৪৫ গদাধরচন্দ্ৰ হ'কো পাইয়া তাহাতেই মনোনিবেশ করিলেন, উপস্থিত কথা ভলিয়া গেলেন। ক্ষণকাল তামাক টানিয়া মাতাকে সম্বোধন' করিয়া কহিলেন, “মা, একটা ডায় বেচে গেলাম, ডিডিডের বাড়ী গেলে আর একটা টামাকের জন্যে টোমার খোসামোড করটে হবে না।" গদাধরের মা । গদাধরচন্দ্র, তোমার কি বধি একেবারে লোপ পেয়েছে : গদা । টব ভাল, টমি বোলে আমার বডি লোপ পেয়েছে। টবে আমার এককালে বডি ছিল । এট ডিন টো আমার বডি নেই বোলে টমি মোরছিলে । গদাধরের মাতা কহিলেন “হ্যাঁ, তোমার খব বুদ্ধি আছে, এখন দেখ দেখি, জেলেপাড়ার চাট্টি মাছ পাওয়া যায় কি না । বিপিন এসেছে, ওকে চারটি খাওয়াতে হবে ত ।” * গদা । কেন, ডিডি যে ডাল পাঠায়ে ডিয়েছিল, টা নেই ? গদাধরের মা সক্ৰোধে গদাধরের মুখের দিকে তাকাইলেন অথাৎ সে সব কথা বলিতে বারণ করিলেন । কিন্ত গদাধর ভয় পাইবার লোক নন। তিনি কাঁহলেন, “অমন চোক গরম ক'রে কাকে ভয় ড্যাকাও ? আমি বুঝি জানিনে । সে ডিন ডাল এসেছিল, সে কি মিটঠে কঠা ? সেই ডাল রাডো, এখন আমি রাষ্ট্রে কোনখানে মাছ আটে যেতে পারবো না ।” গদাধরের মা সক্রোধে ভ্ৰকটি করিয়া “গদাধরচন্দ্ৰ—“ গদা । কেন, গড়াটরচন্ডকে কেন, এই টো গডাটরচন্ড্র আছে । টোমার ভয়ে পালাবে না । গড়াটরচন্ড্র পালাবার ছেলে নন, কিন্ট যদি বিরক্ত কর, টবে সব কঠা ব'লে ডেবে । গদাধরের মা অনুপায় দেখিয়া তথা হইতে চলিয়া গেলেন । গদাধর তামাক খাইতে খাইতে বিপিনের সহিত কথোপকথন আরম্ভ করিলেন । এবং সেই কথোপকথনে আহারের সময় পয্যন্ত অতিবাহিত হইল । আহারাতে গদাধর ও বিপিন শয়ন করিলেন । গদাধরের জননী ঘরের সমন্সত জিনিসপত্র গোছাইতে লাগিলেন এবং পর-দিবস গমনের জন্য বস্ত্রাদি নিৰ্বাচন করিলেন । সমস্ত গোছান হইলে তিনিও নিদ্রিতা হইলেন । পর-দিবস প্রত্যুষে শশিভীষণ শয্যা হইতে উঠিয়াছেন, এমন সময়ে “ডিডি ডিডি” রবে গদাধরচন্দ্র দেখা দিলেন । তাঁর পশ্চাৎ পশ্চাৎ গদাধরচন্দ্রের মাতা, সৎবশেষ বিপিন । একে একে তিন জন গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন । গদাধরকে দেখিয়া শশিভুষণের মনোমধ্যে যে ভাবের উদয় হইল, তাহা বণিতে অপেক্ষা সহজে অনভত হইতে পারে । আপাদমস্তক পয্যন্ত তাঁহার কলেবর ঈষৎ কম্পিত হইল । বোধ হয়, লঘু-পতনক, "ন্বিতীয়কৃতান্তমিব" ব্যাধকে দেখিয়া যত অনিণ্টের ‘আশঙ্কা না করিয়াছিল, শশিভষেণ সহধৰ্ম্মিণীর প্রিয়তম ভ্রাতাকে দেখিয়া তদপেক্ষা অধিক ভীত হইলেন । * প্রমদা ব্যস্তসমস্ত হইয়া গারোখান করিয়া জননী ও ভ্রাতাকে সমাদরে বসাইয়া