পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণলতা : ৫৪ এ দিকে তত্ত্বাপোশের নিম্ন হইতে গেলাস ও বোতল উপরে উঠিলেন । বাবরা আমোদে আসক্ত হইলেন । শশিভীষণ অধীনস্থ কম"চারিগণের সহিত বাটীতে পে'ছিয়া লাভ বণ্টন করিতে লাগিলেন । পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ শশিভূষণ পুরাতন বাড়ীটা কি করিবেন ? প্রমদার মাতা ও ভ্রাতার আগমন এবং শশিভষেণের দেওয়ান হওয়া অবধি শশিভষেণের বাটীতে থাকিবার অত্যন্ত অসুবিধা হইল। বাটীতে স্থান অলপ । বৈঠকখানা অন্ধেক হইতে হইতেই বন্ধ রহিয়াছে । শশিভষেণ ভাবিলেন, আর অল্প খরচ করিলেই বৈঠকখানাটি প্রস্তুত হয় । অতএব তাহাই করা উচিত। কিন্তর প্রমদা এ পরামশে অনুমোদন করিলেন না। ঘরটি প্রস্তত হইলে বিধভষেণকে কালে তাহার অংশ দিতে হইবেক, ইহা অপেক্ষা অন্যায় কথা আর কি হইতে পারে ? শশিভষেণের প্রমদার কথা লঙ্ঘন করিবার সামথ্য হইল না । সুতরাং অন্য একটি পথান ক্ৰয় করিয়া শশিভষেণকে বৈঠকখানা প্রস্তুত করিতে বাধ্য হইতে হইল। কিন্ত স্থান ক্ৰয় করিবার সময় এই এক প্রতিবন্ধক উপস্থিত হইল— “কাহার নামে কেনা যায় ?" শশিভষেণের নিজ নামে ত হইতেই পারে না । কারণ, তাহা হইলে পাছে বিধভষেণ মকদ্দমা করিয়া তাহার অংশ লয় । সেই কারণ প্রযুক্ত প্রমদার নামেও হইল না। পরিশেষে সাত পাঁচ ভাবিয়া গদাধরচন্দ্রের নামে স্থান খরিদ করা হইল । গদাধরের ইহাতে আহলাদের সীমা রহিল না । প্রথমতঃ বৈঠকখানাই প্রস্তত করিবার কথা, কিন্ত ক্ৰমে ক্ৰমে একটি সন্দের বাটী হইল। শশিভষেণ সপরিবারে সেই নতন বাটীতে উঠিয়া গেলেন । সরলা, গোপাল ও শ্যামা সেই পরাতন বাটীতে রহিলেন। এখন পরাতন বাটীতে বে অংশ আছে, তাহা কি করিবেন, শশিভাষণ চিন্তা করিতে লাগিলেন । পল্লীগ্রামে বাটী ভাড়া হইবার সম্ভব নাই। শূন্য ফেলিয়া রাখিলেও ক্ৰমে ক্ৰমে নষ্ট হইয়া যায়। শশিভষেণ প্রমদাকে ডাকিয়া পরামশ জিজ্ঞাসা করিলেন । প্রমদা একট মিন্ট হাসি হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “আগে তুমি কি মনে করেছ বলো, তার পর আমার মনের কথা ব’লবো ।” শশী । না, আগে তুমি বলো । প্রমদা এবার একটন মন কেড়ে লওয়া-গোছের হাসি হাসিয়া শশিভাষণের নিকট গিয়া বসিলেন এবং সেইরাপ হাসিতে হাসিতে কহিলেন, “তুমি না বললে আমি বলবো না ।” । শশী । আমি মনে করেছি, ও-বাড়ীটা সমুদায়ই বিধকে দিব –এই সময়ে প্রমদার মুখপানে চাহিয়া দেখিলেন, মুখচন্দ্রিমা মেঘাচ্ছন্ন, অমনি পুনরায় কহিলেন, “এই মনে করেছি, কিন্তু তোমাকে না জিজ্ঞাসা করে কি আমি কোন