পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ পরিচ্ছেদ : ৫৭ ব্রাহ্মণ এই কথা শুনিয়া পুনরায় আর বাটী না গিয়া পাবমুখে গমন করিতে আরম্ভ করিল ; অথাৎ যে-দেশে গঙ্গা নাই । দিনকতক গমনের পর এক রাজার রাজ্য ত্যাগ করিয়া আর এক রাজার রাজ্যমধ্যে প্রবেশ করিল । তথায় এক বাটীতে বাসা করিয়া রহিল । ব্রাহ্মণ যে রাজ্যে গমন করিল, তথাকার রাজার সন্তানাদি হয় নাই । ব্রাহ্মণ শনিয়া রাজার নিকটে গিয়া নিবেদন করিল, “মহারাজ, আমি এক স্বপ্ৰত্যয়ন জানি, করিলে আপনার সন্তান হইবে।” রাজা তচ্ছ বণে ব্রাহ্মণকে সবসত্যয়ন করিতে অনুরোধ করিলেন । ব্রাহ্মণ সবসত্যয়ন করিলে মহারাজের এক বৎসরের মধ্যে একটি পত্র জম্মিল । রাজা ব্রাহ্মণকে নিজ বাটী রাখিলেন । এবং রাজপত্রে বড় হইলে ব্রাহ্মণকে তদীয় শিক্ষাকায্যে নিয়োগ করিলেন । রাজপত্র ক্ৰমে ক্ৰমে সমস্ত অধ্যয়ন করিয়া দেশ ভ্রমণে যাইবেন । রাজা ব্রাহ্মণকে সমভিব্যাহারে যাইতে কহিলেন । ব্রাহ্মণ কহিল, “আমি সৰবস্থিানে যাইতে পারিব, গংগাত্ৰীরে যাইব না ।” রাজা কারণ জিজ্ঞাসা করায় ব্রাহ্মণ আত্মবক্তাত সমুদায় পরিচয় দিল । রাজা হাসিয়া কহিলেন, “আচ্ছা, তোমাকে গঙ্গাতীরে যাইতে হইবেক না ।" রাজপত্রে ব্রাহ্মণের সমভিব্যহারে নানা পথান পয্যটন করিয়া, গংগাতীরে যাইবার মানস প্রকাশ করিলেন । ব্রাহ্মণ তাঁহার সহিত যাইতে অস্বীকার করিল। কিন্ত রাজপত্র কহিলেন, “আপনাকে ত আর রাস্তা হইতে কুমীরে লইয়া যাইবে না ? তবে যাইতে ভয় কি ?” ব্রাহ্মণ অগত্যা সম্মত হইল । যোগের সময় রাজপত্র গংগানানে যাইবেন, এ জন্য ব্রাহ্মণকে সমভিব্যাহারে লইয়া যাইবার ইচছা প্রকাশ করিলেন । কহিলেন, "আপনি তীরে থাকিয়া মন্ত্র পড়াইবেন, তাহাতে ভয় কি ?” ব্রাহ্মণকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজকুমারের সহিত গমন করিতে হইল। গঙ্গাতীয়ে সহস্ৰ সহস্ৰ লোক সনান করিতেছে দেখিয়া তাহার সাহস হইল । রাজপত্র স্নান করিবার জন্য জলে নামিলেন ; ব্রাহ্মণ তীরে থাকিয়া মন্ত্র পড়াইতে লাগিল । কিন্ত লোকের কোলাহলে রাজপত্র শনিতে না পাইয়া কহিলেন, "আমার লোকে চতৎপাব ঘিরিয়া দড়িাইবে, আপনি মধ্যসথলে থাকিয়া মন্ত্র পড়ান।" বলিবা মাত্র রাজপত্রের লোকে তাঁহাকে বেস্টন করিল এবং ব্রাহ্মণও সেই বেস্টনের মধ্যে গিয়া মন্ত্র পড়াইতে লাগিল । মন্ত্র সমাপন হইলে রাজপত্র ব্রাহ্মণকে বলিলেন, “মহাশয়, আমি সেই কমন্সত্র।” এই বলিতে বলিতে কমভীরের রােপ ধারণ করিয়া ব্রাহ্মণকে লইয়া সলফে গভীর জলে চলিয়া গেল । বিধভষেণ নীলকমলের গল্প শুনিয়া কিঞ্চিৎ বিস্মিত হইলেন, এবং কিঞ্চিৎ চিন্তাকলেও হইলেন । ক্ষণকাল পরে উভয়ে এক রাস্তার ধারে দোকানে গিয়া উপস্থিত হইলেন । নীলকমল দোকানে প্রবেশ করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “দোকানী ভাই,