পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিংশ পরিচ্ছেদ : ৬৭ বিপ্রদাস এই বলিয়া সে দিবস বাসায় ফিরিয়া আসিলেন। দিনকতক পরে উপযুক্ত ট্যাম্পে উইল লেখা হইল। বিপ্রদাসের ত্রিশ হাজার টাকার কোম্পানীর কাগজ ছিল। হেমকে তাহার পনের হাজার দিলেন ও বণকে পনের হাজার দিলেন। হেম প্রাপ্তবয়স্ক হইলে ও বণ’লতার বিবাহ হইলে উইলের সত্ত আমলে আসিবে । বিংশ পরিচ্ছেদ গদাধর ও হ্যামা গদাধর থানায় কি হইযছিল, তাহা কাহারও নিকট প্রকাশ করেন নাই বটে, কিন্তু মনে মনে কিরাপে শ্যামা ও সরলাকে জব্দ করিবেন, এই চিন্তাই সর্বদা করিতে লাগিলেন । প্রমদাও তাহাই প্রতিজ্ঞা করিলেন । তিনি মনে করিয়াছিলেন, তাঁহার স্বামী বাটী আসিয়া শ্যামার বিধিমত লাঞ্ছনা করিবেন, কিন্তু যখন দেখিলেন, তিনি কিছু করিলেন না, তখন মনে কবিলেন, আর কাহাকে কিছ না বলিয়া নিজেই শ্যামাকে শাসন করিবেন । কিন্তু শ্যামাকে কিছ: বলিতে কাহারও সাহস হয় না ! এক দিবস রাত্রিতে আহারাদি করিয়া শ্যামা ও সরলা শুইয়া আছেন, ঘরের দরজা খোলা রহিয়াছে। প্রমদা নিঃশব্দপদসঞ্চারে পুরাতন বাটীতে গিয়া সরলার শয়নঘরের বারে দাঁড়াইলেন । শুনিলেন, সরলা ও শ্যামা উভয়ে কথোপকথন করিতেছে । সরলা কহিলেন, “শ্যামা, প্রায় তিন মাস হইল, তব একখান পত্রও পাওয়া গেল না । তিনি কোথায় গেলেন ? কি হ’ল, তার কিছুই টের পেলেম না। আমার ভাবনায় শরীর শখিয়ে যাচ্ছে।” শ্যাম উত্তর করিল, “তার ভাবনা কি ? এই পত্র এলো । মনে কর, তিনি একে বিদেশে গিয়েছেন, সেখানে দেখে শুনে নিতেই কত দিন গিয়েছে, একট স্থির হয়ে না বসলে ত আর কেউ পত্র-টর লিখতে পারে না।” সরলা । তা সত্য বটে, কিন্তু তিন মাসও ত অলপ সময় নয় ? শ্যামা । তিনি যে তিন মাস এক জায়গায় আছেন, তারই বা ঠিক কি ? যাত্রার দল ত কখন এক জায়গায় বসে থাকে না । হয় ত আজ এখানে কাল ওখানে ফিরে বেড়াচ্ছেন, তাই পত্র লিখিবার কোন সংবিধা পান নাই । সরলা । আমাদের খরচপত্রও বােব প্রায় শেষ হয়ে এলো, এর পর কি হবে, আমি তাই ভাবছি। শ্যামা । তার ভয় কি ? এখনও বা আছে, তাতে ছয় মাস অনায়াসে চলবে । সরলা । শ্যামা, তুমি যে ঐ ভাংগা সিন্দকে টাকা রাখ, এ কিন্তু ভাল না। কবে কে টের পেয়ে এক দিন সব নিয়ে যাবে। শ্যামা । কেই বা টের পাবে যে, সিন্দকে ভাঙ্গা । যদি তুমি চরি কর, তা