পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণলতা ৭০ এইরুপ বলিয়া বাটীর বাহির হইতেছে, এমন সময় শশিভাষণ কাছারি হইতে বাটী আসিলেন। পলিস খানাতলাসির কথা শুনিয়া তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, "আজ আবার কি হয়েছে ?” শ্যামা কহিল, “গদাধর আমাদের টাকা চরি করেছে, যদি ভাল চায় এখনই দিক, নইলে আমি চললাম, এই পলিস ডেকে আনি গিয়ে ” শশিভাষণ কহিলেন, “শ্যামা আমার সঙ্গে এস-আমি অনুসন্ধান ক’রে দেখি, পরে তমি থানায় যেও ।" শ্যামা শশিভষেণের কথায় ফিরিয়া আসিল । শশী কাপড়-চোপড় ছাড়িলেন। শ্যামা গদাধরের বাটী যাওয়া ও তাহার পবে তাহাদিগের পরামর্শ ও পরে টাকা হারানর বিবরণ সমুদায় বণনা করিল। শশিভাষণ শুনিয়া ভাল মন্দ কিছুই না বলিয়া শ্যামাকে কহিলেন, “শ্যামা, এখন এই টাকাটি দিয়া গোপালকে পাঠশালায় পাঠিয়ে দাও । আমি আহারাদি ক’রে ইহার বিচার করবো ।” শ্যামা তাই করিল । শশিভাষণ আহারাদি করিয়া সমদায় পুনরায় কমদার নিকট শুনিলেন । শুনিয়া তাঁহার অত্যন্ত সন্দেহ হইল । প্রমদাকে কিছ না বলিয়া পুনরায় কাছারি যাইবার সময় শ্যামাকে ডাকিয়া কহিয়া গেলেন, “শ্যামা, কে টাকা নিয়েছে ঠিক হ’ল না। কিন্ত পলিস আনিয়া গোলের প্রয়োজন কি, তোমার যত টাকা গিয়েছে, আমিই দেবো ?” কাছারি হইতে আসিয়া শশিভাষণ শ্যামাকে পুনরায় ডাকিয়া টাকাগুলি গণিয়া দিলেন । একবিংশ পরিচ্ছেদ গোপালের দুই ম! শশিভাষণের বাটীর কিঞ্চিৎ দরে রামচন্দ্র ঘোষের বাটীতে পাঠশালায় গোপাল লিখিতে যায় । রামচন্দ্র ঘোষের চণ্ডীমণ্ডপে পাঠশালা বসে। পাঠশালায় ষাট সত্তর জন বালকে লেখে । বালকেরা সকলে সারি সারি বসিয়া আছে। তন্মধ্যে গর মহাশয় হ’কা-কলিকা-রের-পরিবেষ্টিত হইয়া অপবে শোভা সম্পাদন করিতেছেন এবং মধ্যে মধ্যে চণ্ডীমণ্ডপের মেজের উপর বেত্ৰাঘাতপৰিবাক “পড়ে লেখ পড়ে লেখ" বলিয়া সিংহনাদ করিতেছেন । বালকেরা যাহার যত দরে গলা, উচ্চৈঃস্বরে পড়িয়া লিখিতেছে । কেহ কেহ পশ্চমে তুলিয়া “ক লেখ খ লেখ” করিতেছে, কেহ কেহ উচ্চৈঃস্বরে “রামকৃষ্ণ পরামাণিক” “জন্মেজয় মিত্র" ইত্যাদি যুক্তাক্ষরে নাম লিখিতেছে । অসংযুক্ত বণের নাম গরমহাশয়ের গ্রাহ্য হয় না। কলার পাতায় কেহ হে'কে হেকে সেবক শ্ৰীউত্তমচন্দ্র দেবশম্ম’ণঃ” পাঠ লিখিতেছে । কাগজলেখক ছাত্রেরা যেন মত মঞ্চত