পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণলতা : ৮২ নীলকমল । না, আমি হনুমান হয়ে মুখে চণ কালি দিয়ে কলা খেতে খেতে অত লোকের মধ্যে যেতে পারবো না । আমাকে এতে চাই রাখো বা না রাখো । অধিকারী মহাবিপদে পড়িল । এ দিকে “বাছা হনুমান, বাছা হনুমান" করিয়া রামের স্বরভঙ্গ হইবার জো হইয়াছে। এজন্য অধিকারী কহিল, “তোমাকে এখন অবধি ৫ টাকা করিয়া বেতন দেওয়া যাইবেক, যদি হনুমান সাজো ।" নীলকমল সম্মত হইল, কিন্ত তথাপি লজ্জায় আসরে আসিতে পারিতেছে না। দু-এক জনু লোক গিয়া হনুমানরাপী নীলকমলকে বলপবেক ধরিয়া उञानिक्ल । রাম কহিল, “কি বাছা হনুমান, এত ক্ষণে এলে ?” নীলকমল "হাঁ প্রভ, এলাম” বলিয়া উত্তর করিবে, এমন সময়ে বিধুভুষণকে দেখিতে পাইল । রাস্তায় সপ দেখিলে পথিক যেমন চমকিয়া উঠে, নীলকমল তেমনি চমকিয়া উঠিল । নীলকমল ভাবিল যে, বিধভষেণ সকলই টের পাইয়াছেন, গোবিন্দ অধিকারীর দলে মিশিতে পারে নাই, তাহাও জানিতে পারিয়াছেন, এখন যে কি অবস্থায় কি বেতনে আছে, সকলই অবগত হইয়াছেন । নীলকমল এই সমস্ত মহত্তমধ্যে ভাবিয়া, রামের কথায় আর জবাব না দিয়া, সভাসথ লোকের নিকট জোড়হাতে উচ্চৈঃস্বরে কহিল, “মহাশয়, আমাকে জোর ক’রে হনুমান সাজায়েছে।" হনমানের কথা শুনিয়া সভাপথ সমদার লোক হাসিয়া উঠিল । নীলকমল পম্বোবৎ উচ্চৈঃস্বরে কহিল, “আপনারা আমার কথায় কি বিশ্বেস করলে না । আমি দিবি করে বলতে পারি, আমি হনমান না, আমার নাম নীলকমল, বাড়ী রামনগর, আমাকে জোর করে হনুমান সাজায়েছে ।" সভাপথ লোক আরও বেশী হাসিয়া উঠিল । নীলকমল লজিত হইয়া বসিল । রাম ডাকিলেন, “বাছা হনুমান ।” নীল । কে তোর হনুমান ? আমাকে অমন হনুমান হনুমান করলে তোর ভাল হবে না । রাম । ( অধিকারীর পরামশে ) হনমান, এ যন্ধ বিপদ হইতে রক্ষা কর । নীল । ফের তই হনুমান হনুমান করছিল ? তোর যন্ধ হ’ল না হ’ল, তাতে আমার কি ? অনেক খোশামোদের পর নীলকমল যুদ্ধে কিঞ্চিৎ সাহায্য করিল। কিন্ত সে সাহায্য নাম মাত্র। রাম ধনক বাণ যেই ধাঁরল, আর অমনি পঞ্চত পাইল । একট: পরে গান ভাগিয়া গেল। নীলকমল মুখোশ ফেলিয়া দিয়া অধোবদনে বসিয়া