পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষড়বিংশ পরিচ্ছেদ : ৮৯ সকন্ধে নিক্ষেপ করিয়া বাম হস্ত দুবারা কোঁচার অগ্রভাগ এবং দক্ষিণ হস্ত বারা ছড়িগাছটির মস্তক ধরিয়া বাহির হইলেন । গদাধরচন্দ্রের বৈঠকখানা হইতে বাহির হইতে গেলে শশিভষেণের বৈঠকখানা দিয়া যাইতে হয়। বড়লোকের বাড়ীর বেড়ালটা পৰ্য্যন্ত মরবি ; সুতরাং দুই এক জন উমেদার তাঁহার নিকট দরবার করিতে আসিল । গদাধর তাহাদিগকে দুই এক কথা বলিয়া রাস্তার দিকে অগ্রসর হইলেন । দুই চারি পদ গমন করিয়াছেন, এমন সময় রমেশ নামক কনটেবলের সহিত দেখা হইল। রমেশ গদাধরচন্দ্রের সহিত দেখা করিতে আসিতেছিলেন। গদাধরচন্দ্র রমেশকে দেখিয়া কহিলেন, *রমেশ বাব না কি ? টব ভাল । আমি মনে করেছিলাম, টমি বুঝি ভালে গেলে ।” রমেশ কহিল, "যেখানে আসবে বলেছি, সেখানে কি আর ভুল হয় ? আমরা পলিসের লোক, আমাদের যেমন কথা, তেমনি কাজ ।” উভয়ে অলেপ অলেপ আসিয়া গদাধরের বৈঠকখানায় প্রবেশ করিলেন । গদাধর পুনরায় সিন্দকের চাবিটি খলিয়া বোতলটি বাহির করিলেন এবং খানিক জল ও আরক মিশাইয়া রমেশের হাতে দিলেন । রমেশ গেলাসটি হাতে লইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কি ?” গদাধর । রোম । রমেশ । জল দিয়াছ না কি ? গদাধর । হাঁ । রমেশ । তবে ওটা তুমি খেয়ে ফ্যালো। আমি পাতা ভাত খেতে পারি না । আমরা পলিসের লোক । গরম জিনিস নইলে আমাদের মুখে ভাল লাগে না । গদাধর সে গেলাসটি সেবন করিলেন । রমেশ নিজের হাতে এক গেলাস ঢালিয়া লইয়া নিজ'ল খাইলেন । গদাধর বোতলটি আবার সিন্দকে রাখিয়া দিলেন, রমেশ কহিলেন, “ছাটি দিচ্চ না কি ?” - গদাধর কহিলেন, “না। জানি কি, যণ্ডি কেউ আসে। ও ঢাকা ঠাকা ভাল ” রমেশ কহিলেন, “তবে আমি আর এক গেলাস একেবারে খাই ।” রমেশ কথা কাব্যে পরিণত করিলেন । গদাধর বোতল বন্ধ করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “টবে এখন কাজের কঠা কও ” রমেশ কহিলেন, “কাজের কথা যা বলেছি তাই, আমরা পলিসের লোক, বেশী কথা কই না ।” গদাধর কিঞ্চিৎ ক্ষম হইয়া কহিলেন, “ডেথ ডেখি ভাই, তোমার কি অন্যার ? আমি সকল করলাম, ঝকি সমডায় আমার । টমি ভাই ফাঁকের ঘরে এসে অটো চাইলে চলবে কেন ?” রমেশ কহিলেন, “আমি আর কত চাইলাম । অা জকাল তাদের যে অবস্থ৷