পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণলতা ৯e হয়েছে, আমি যদি বলে দি, তা হলে তারাই আমাকে তিন ভাগ দিতে পারে।” গদাধর। ডেথ ডেখি ভাই, আমার কােট। আজ আবার ডাক হরকরা এসেছিল । চিঠিখানা ডিয়ে জিজ্ঞাসা করলে, “আপনি যে চিঠি ন্যান, আপনি তার কে হন ?" আমি বললাম, “আমি টার ভাই । ড্যাক ডেকি ভাই, আমি এট মিট্যা কটা কয়ে জাল ক'রে টাকাগুলি করলাম, টমি টার টিন ভাগ চাও । আমার পক্ষে টা হ'লে বড় অন্যায় হয় ।” রমেশ । তুমি মিথ্যা কথা বলে, জাল করলে সত্যি, কিন্ত তোমাকে শিখালে কে? তুমি ত পত্র পেয়েই তাদের দিতে যাচ্ছিলে। আমি যদি না পরামর্শ দিতাম, তা হ’লে তোমার ত এক পয়সাও থাকতো না। গদাধর । টমি টো পরামর্শ ডেও নি, ডিডিই আমাকে পরামশ ডিয়েছিলেন । টোমাকে এ যে ডিচ্ছি, এ কেবল আমার বোকামির জন্যে বৈ ট নয়! টোমাকে না বলে কি টমি টের পেটে ? রমেশ । আমাকে না বলে এত দিন তোমাকে পলিসে পাকড়া ক’রে ফেলতো । আমিই তোমাকে বললাম যে, রসিদে নিজের নাম সই না ক’রে গোপালের নাম সই করো। তা হ’লে আর কোন গোল থাকিবে না । কেমন, এ কথা আমি বলি নাই ? গদাধর । টা তুমি বলেছিলে বটে, কিন্ট ডেথ ডেখি, টোমার ডাবিটা অন্যায় কট র এখন ছ-শ টাকার চার-শ টোমাকে ডিলে আমার ঠাকে কি ? আবার তার মঢ্যে ঠেকে ডিডিকে ডিটে হবে ? রমেশ একট কৃত্রিম বিরক্তি প্রদর্শন করিয়া কহিল, “আমি কিছু চাই নে ! যার টাকা, সেই পায়, এই আমার ইচ্ছা। চল, আমার কাছে যা আছে আর তোমার কাছে যা আছে, সমুদায় গোপাল ও গোপালের মা'র কাছে দিয়ে আসি । আমি ও-টাকা চাই নে, কখন চাইও নি । তোমার ইচছা হয়, সমুদায় নেও । আমি যা জানি, তাই করবো এখন " এই বলিয়া রমেশ বাব উঠিতে উদ্যত হইলেন । গদাধর একট: হাসিয়া কহিলেন, “রমেশ বাব, চটলে না কি ? আমি টো ভাই চটবার কঠা কিছুই বলি নাই। আচ্ছা, যার টাকা, টাকেই ডেওয়া যাবে ; এখন টুমি বসো বোটলটা খালি করা চাই টো ?” রমেশ বসলেন । পাঠকবর্গ বোধ হয় টের পাইয়াছেন যে, বিধভষেণের রেজেস্টরী চিঠিগুলি কোথায় গিয়া পড়িয়াছিল। বিধভযণ প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন যে, কিঞ্চিৎ টাকার সংস্থান না করিয়া আর দেশে প্রত্যাগত হইবেন না । মাঝে মাঝে বাটীর খরচপত্রের জন্যে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ পাঠাইয়া দিতেন। চিঠির কোন জবাব পাইতেন না বটে, কিন্তু গোপালের