পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষড়বিংশ পরিচ্ছেদ : ৯৩ গদাধর বাব, ও কি ? অমন করো ত আমি এখনই সব কথা ভেঙ্গে দেবো, চাপ ক’রে বসে কাজের কথা বলো, আমরা পলিসের লোক, কত ব্যাটা আমাদের পায় ধ’রে থাকে ৷” গদাধর পা ধরিয়াই আছেন । রমেশ ছাড়াইতে পারিলেন না । ক্ষণকাল নিঃশব্দে আশ্রপাত করিয়া পনরায় কহিলেন, "রমেশ বাব, টোমার কি ডয়া মায়া নাই ? আমার ঢন, মান, প্রাণ, সকলই টোমার হাটে । টমি যদি না রক্ষা করো, টবে আমি আর বাঁচি নে " - রমেশ ( এবার গদাধরকে ঠাট্টা করিয়া গদাধরের সবরে কহিল ) “টোমার মান, চন, প্রাণ, সকলই টোমারই হাটে । টমি যডি না রাখ, টবে আমার সাট্য কি আমি রাখি।” গদাধর । রমেশ বাবা, মড়ার উপর খড়িার ঘা ডিও না । রমেশ চাপ করিয়া রহিল। গদাধর মনে করিলেন, রমেশের দয়া হইল, পা ছাড়িয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “টবে কি বলে রমেশ বাব ?” রমেশ । নগদ কোম্পানি সিক্কা এক শত টাকা । গদাধর । টবে আমাকে কেটে ফ্যালো । রমেশ । আমি কাটবো কেন, যারা কাটবার, তারাই কাটবে। গদাধর দেখিলেন, রমেশ এক শত টাকার কমে কোন মতেই ছাড়ে না। তখন রমেশকে বসিতে বলিয়া নিজে বাড়ীর মধ্যে গেলেন । রমেশ একাকী বসিয়া ভাবিতে লাগিলেন, "বাছাধন ঘঘ দেখেছেন, ফাঁদ দেখেন নি। এখনও হয়েছে কি ? আগে জেলে যাউন, তখন সুখ পাবেন । ভগিনীপতির টাকায় বাবয়ানার ফল পাবেন । আর লম্বা কোঁচা, বাঁকা সিতি থাকবে না।" অন্ধ ঘণ্টা আন্দাজ বাটীর মধ্যে থাকিয়া গদাধরচন্দ্র মানমথে পুনরায় ফিায়রা আসিলেন । দেখিলেন, রমেশ যেখানে, ছিলেন, সেইখানেই বসিয়া আছেন । গদাধরকে দেখিয়া রমেশ জিজ্ঞাসা করিল, “কি খবর ?" গদাধর । আর ভাই খবর ! আমি টেমাকে বলেছি, আমার হাটে এক পয়সাও নাই । ডিডির কাছ ঠেকে টাকা বের করা কি সহজ কটা ? রমেশ গদাধরের কথা শেষ হইতে-না-হইতে কহিল, “কাজের কথা কি এখন বলো। ও-সব কথা রেখে দাও । আমি আর দেরি করতে পারি না । জান ত ভাই, আমরা পলিসের লোক, কোনখানে দু-দণ্ড থাকবার জো নাই । এক রকম জবাব পেলেই চলে যাই । পরের কাজে মিথ্যা সময় নষ্ট করা কি উচিত ?" রমেশের ধৰ্ম্মমশাস্ত্রেও উত্তম জ্ঞান আছে । গদাধর কহিলেন, “ভাই, বিশেষ কে’ডে কেটে বলায় ডিডি ডিটে স্বীকার হয়েছে। প্রষ্ঠমে কিছুই ডেবে না, টার পর পঞ্চাশ টাকা। টার পর আমি ব’লে ক’য়ে আর মা অনেক কে’ডে কেটে ১০১ টাকা ডিটে স্বীকার করিয়ে এসেছি । টোমার