পাতা:স্বর্ণ-শৃঙ্খল নাটক.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8 ভীষ্ম । কেন, যখন পণ করা হয়, তখন কি বেশে কি অবস্থায় বনে দুৰ্য্যো । শকুনি । স্বর্ণ-শৃঙ্খল নাটক । গমন করিতে হইবেক, তাহার তো কোন নিয়ম নিৰ্দ্ধারিত হয় নাই, তবে— ই, যথার্থ কোন নিয়ম নিৰ্দ্ধারিত হয় নাই বটে, কিন্তু উভয় পক্ষে সকলেই মনে মনে জানেন ( এখন যিনি যাই বলুন )। যে, বনগমনপণের যথার্থ এই মৰ্ম্ম । এক্ষণে তাহাতে স্বতন্ত্র অর্থ সংলগ্ন করিয়া অন্যথাচরণ করা কেবল সত্যকে বঞ্চনা করা মাত্র । বাপু দুর্য্যোধন যথার্থ বলেছ। ইতিহাসে এ বিষয়ের এক বিশেষ দৃষ্টান্ত আছে । পূৰ্ব্বকালে কোন এক রাজা নিজ শক্রর কোন এক দুর্গ আক্রমণ করিয়াছিলেন । দুর্গবাসীরা রাজার সহিত সম্মুখ যুদ্ধে আপনাদিগকে অক্ষম জানিয়া দুর্গদ্বার রুদ্ধ করিয়া রহিল । রাজাও দুর্গ বেষ্টন করিয়া দুর্গমধ্যে আহাৰ্য্য ব্যবহার্য্য দ্রব্যজাত কোন প্রকারে প্রবেশ করিতে না পারে, এরূপ সতর্কে রহিলেন । কিছুদিন পরে দুর্গমধ্যে অন্নকষ্ট হওয়াতে দুর্গবাসীরা অনন্তোপায় হইয়। রাজার নিকট ক্ষম প্রার্থনা করিয়া এই বলিয়া দূত প্রেরণ করিলেক, যে, যদ্যপি মহারাজ ধৰ্ম্মসাক্ষী করিয়া প্রতিজ্ঞা করেন যে, আমাদের শিরশ্বেদন করিবেন না, তবে আমরা এই দণ্ডেই দুর্গদ্বার অনর্গল করিয়া মহারাজের শরণ লই । রাজা এই কথা শুনিয়। তৎক্ষণাৎ অঙ্গীকার করিলেন যে, দুর্গবাসী এক প্রাণীরও মস্তক ছেদন করিবেন না। দুর্গস্থ ব্যক্তির তাহার কথায় বিশ্বাস করিয়া দুৰ্গদ্বারোদঘাটন করিবা बाख রাজা সকলকে ধৃত করিয়া বন্ধনপূর্বক একটা প্রকাণ্ড