পাতা:স্বর্ণ-শৃঙ্খল নাটক.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণ-শৃঙ্খল নাটক । b*電 অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করিতে আজ্ঞা দিলেন । হতভাগার হা হতোস্মি করিয়া কহিল “মহারাজ এ কি ? প্রতিজ্ঞা লঙ্ঘন করা কি ক্ষত্রিয়ের ধৰ্ম্ম ? না রাজার ধৰ্ম্ম ?” রাজা উত্তর দিলেন “আমি কি প্রকারে প্রতিজ্ঞা লঙ্ঘন করিলাম ? আমি ত কাহারে স্কন্ধ হইতে মস্তক বিয়োগ করি নাই ।” রাজা যুধিষ্ঠিরের সসম্পদে বনবিহার করাও এইরূপে সত্য পালন করা হয় । দুৰ্য্যো । মাতুল ! অতি যোগ্য ইতিহাসই বলেছ। সৰ্ব্বস্ব পরিত্যাগ করিয়া জটবন্ধলধারী হইতে হয়, বনে গমনের এই নিয়ম পূৰ্ব্বাপর প্রচলিত আছে। ত্রেতাবতারে রামচন্দ্র পিতৃসত্যপালনার্থ বনগমনকালে সকলের অনুরোধ উপেক্ষা করিয়া সন্ন্যাসিবেশ ধারণ করিয়াছিলেন, যাহা হউক, এ বিষযে অামার অধিক বলিবার বাসনা নাই । সত্যাভিমানী ধৰ্ম্মনামধারী যুধিষ্ঠিরের বিবেচনায় যাহা হয়, তাহাই আমার স্বীকার। সকলে । ( যুধিষ্ঠিরের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া) আপনি তপস্বীর বেশ ধারণ করিবার পণতো করেন নাই— যুধি ! মহাশয়েরা আমাদের প্রতি যেরূপ স্নেহ ও দয়া প্রকাশ করিয়াছেন তাহাতেই আমরা চরিতার্থ হইয়াছি ত অকপটে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করিতেছি। পণের বিষয় রাজা দুর্য্যোধন যে নিয়ম করিতেছেন, আমার বিবেচনায় তাহাই সৰ্ব্বতেভাবে সঙ্গত । আমরা তপস্বী বেশ ধারণ না করিলে সত্যচ্যুত হইয়া ধৰ্ম্মে পতিত হইব । অতএব আমরা এই দণ্ডেই জটা বস্কলু ধারণ করিয়া প্রতিজ্ঞ পুৰ্ণ করিতে নিযুক্ত হই । ( দ্রৌপদীর সহ পঞ্চপাণ্ডবের প্রস্থান । )