"পুনরুত্থান (Resurrection) জিনিসটা ত বসন্ত-দাহ (Spring Cremation) প্রথারই রূপান্তরমাত্র। যাহাই হউক না কেন, দাহপ্রথা শুধু ধনী যবন (গ্রীক) ও রোমকগণের মধ্যেই প্রচলিত ছিল, আর সূর্য্যঘটিত নব উপাখানটী সেই অল্পসংখ্যক লোকের মধ্যেই উহাকে রহিত করিয়া থাকিবে।
"কিন্তু বুদ্ধ! পৃথিবীতে যত লোক জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন তন্মধ্যে তিনিই যে সর্ব্বশ্রেষ্ঠ, এ বিষয়ে অনুমাত্র সন্দেহ নাই। তিনি নিজের জন্য একটীবারও নিঃশ্বাস লয়েন নাই! সর্ব্বোপরি তিনি কখনও পূজা আকাঙ্ক্ষা করেন নাই। তিনি বলিয়াছিলেন, ‘বুদ্ধ কোন ব্যক্তি নহেন, উহা একটী অবস্থাবিশেষ। আমি দ্বার খুঁজিয়া পাইয়াছি। আইস, তোমরা সকলেই প্রবেশ কর।’
“তিনি পাপিনী অন্ত্রপালীর নিমন্ত্রণে গিয়াছিলেন। তিনি অন্ত্যজের গৃহে, উহাতে তাঁহার প্রাণনাশ হইবে জানিয়াও, ভোজন করিয়াছিলেন এবং মৃত্যুকালে তাঁহার অতিথিসৎকারককে এই মহামুক্তি-দানের জন্য ধন্যবাদ দিয়া তাঁহার নিকট লোক পাঠান। সত্যলাভের পূর্ব্বেও একটি ক্ষুদ্র ছাগশিশুর জন্য ভালবাসা ও দয়ায় কাতর! তোমাদের স্মরণ আছে, কিরূপে রাজপুত্র এবং সন্ন্যাসী হইয়াও তিনি নিজ মস্তক পর্য্যন্ত দিতে চাহিয়াছিলেন, যদি রাজা শুধু যে ছাগশিশুটিকে বলি দিতে উদ্যত হইয়াছিলেন সেটিকে মুক্তি দেন, এবং কিরূপে সেই রাজা তাঁহার অনুকম্পার নিদর্শনে মুগ্ধ হইয়া উক্ত ছাগশিশুকে প্রাণদান করেন। জ্ঞানবিচার এবং সহৃদয়তার এরূপ অপূর্ব্ব সংমিশ্রণ আর কোথাও দেখা যায় নাই! নিশ্চয়ই তাঁহার মত আর কেহ যে জন্মেন নাই, এ বিষয়ে দ্বিরুক্তি নাই!”
১০০