পাতা:স্বামিজীর সহিত হিমালয়ে - ভগিনী নিবেদিতা (১৯৫১).pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বামিজীর সহিত হিমালয়ে

খবর রাখিতেন; তথাপি বাহ্যদশায় তিনি পুরাদস্তুর কর্ম্মতৎপর এবং কর্ম্মপটু ছিলেন।

 তৎপরে তিনি তাঁহার গুরুদেবের পূজারূপ সেই জটিল প্রশ্ন সম্বন্ধে বলিলেন, “আমার নিজের জীবন সেই মহাপুরুষের চরিত্রের প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগ দ্বারা চালিত, কিন্তু এটী অপরের পক্ষে কতদূর খাটিবে তাহা তাহারা নিজে নিজেই ঠিক করিয়া লইবে। অতীন্দ্রিয় তত্ত্বসকল শুধু যে একজন লোকের মধ্য দিয়াই জগতে প্রসারিত হয়, এমন নহে।”

 ১১ই আগষ্ট। এই দিন করকোষ্ঠী দেখার জন্য আমাদের মধ্যে একজনকে স্বামিজীর নিকট ভর্ৎসনা সহ্য করিতে হইয়াছিল। তিনি বলিলেন, এ জিনিসটাকে সকলেই চায়, তথাপি সমগ্র ভারত ইহাকে হেয় জ্ঞান এবং ঘৃণা করে। একটু বিশেষ পক্ষসমর্থনের উত্তরে তিনি বলিলেন, “হাঁ, চেহারা দেখিয়া চরিত্র বলিয়া দেওয়াও আমি সমর্থন করি না। বলিতে কি, তোমাদের অবতার এবং তাঁহার শিষ্যবর্গ যদি সিদ্ধাইগুলা না দেখাইতেন, তাহা হইলে আমি তাঁহাকে আরও বেশী সত্যসন্ধ বলিয়া মনে করিতাম। বুদ্ধ এই কার্য্যের জন্য একটা ভিক্ষুর আলখেল্লা কাড়িয়া লইয়াছিলেন।” আরও পরে যে বিষয়টী বর্ত্তমান মুহূর্ত্তে তাঁহার মনোযোগ আকর্ষণ করিয়াছিল, সেই বিষয়ের প্রসঙ্গে তিনি অতিমাত্র ভীত হইয়া বলিলেন যে, ইহার এতটুকু প্রকাশ হইবামাত্র ভীষণ প্রতিক্রিয়া আসিবেই আসিবে।

 ১২ই ও ১৩ই আগষ্ট। স্বামিজী আজকাল একজন ব্রাহ্মণ পাচক রাখিয়াছেন। একজন মুসলমান পর্য্যন্ত তাঁহাকে রাঁধিয়া

১২৬