এক রাজপুত নরপতির নিকট হইতে দূত আসিয়া তাঁহাকে সেই প্রসিদ্ধ কাগজপত্রগুলি দিল। তাহাতে লেখা ছিল, “বিধর্ম্মীর সংস্পর্শে যাঁহার শোণিত কলুষিত হয় নাই এরূপ লোক আমাদের মধ্যে মাত্র একজন আছেন। তাঁহারও মস্তক ভূমিস্পর্শ করিয়াছে, একথা যেন কেহ কখনও বলিতে না পারে।” পাঠ করিবামাত্র প্রতাপের হৃদয় সাহস এবং নবীভূত আত্মপ্রত্যয়ে সঞ্জীবিত হইয়া উঠিল। তিনি বীরগর্ব্বে দেশ হইতে শত্রুকুল নির্ম্মল করিয়া উদয়পুরে নিরাপদে প্রত্যাবর্তন করিলেন।
তারপর অনুঢ়া রাজনন্দিনী কৃষ্ণকুমারীর সেই অদ্ভূত গল্প শুনিলাম। একাধিক নরপতি এক সঙ্গে তাঁহার পাণিগ্রহণ করিতে চাহিতেছিলেন। আর যখন তিনটী বৃহৎ বাহিনী পুরদ্বারে উপস্থিত হইল, তাঁহার পিতা কোন উপায়ান্তর না দেখিয়া তাঁহাকে বিষ দিতে মনস্থ করিলেন। কৃষ্ণকুমারীর খুল্লতাতের উপর এই ভার অর্পিত হইল। বালিকা যখন নিদ্রিতা সেই সময় খুল্লতাত উক্ত কার্য-সম্পাদনার্থ তাঁহার কক্ষে প্রবেশ করিলেন। কিন্তু তাঁহার সৌন্দর্য্য ও কোমল বয়স-দৃষ্টে এবং তাঁহার শিশুকালের মুখও মনে পড়ায়, তাঁহার যোদ্ধ হৃদয় দমিয়া গেল এবং তিনি তাঁহার নির্দ্দিষ্ট কার্য্য করিতে অক্ষম হইলেন। কৃষ্ণকুমারী কোন আওয়াজ শুনিতে পাইয়া জাগিয়া উঠিলেন এবং নির্দ্ধারিত সঙ্কল্পের বিষয় অবগত হইয়া হাত বাড়াইয়া বাটীটি লইলেন এবং হাসিতে হাসিতে সেই বিষ পান করিয়া ফেলিলেন। এইরূপ ভূরি ভূরি গল্প আমরা শুনিতে লাগিলাম। কারণ রাজপুত বীরগণের এবম্বিধ গল্প অসংখ্য।
২০শে সেপ্টেম্বর। শনিবারে স্বামিজী এবং সুং নামক একজন
১৩৩