আর স্বয়ং স্বামিজী তথায় আসিতেন এবং আসিয়া উমা-মহেশ্বরের ও রাধা-কৃষ্ণের গল্প বলিতেন এবং কত গান ও কবিতার আংশিক আবৃত্তি করিতেন।
কোন একটা পৌর্ব্বাপর্য্যের ভাব না রাখিয়া, পর পর অনেকগুলি সুস্পষ্ট অথচ আলাদা আলাদা অনুভূতির উপর করাইয়া মানবচিত্তকে যে উচ্চতর অবস্থায় পরিণত করিবার প্রথম উপকরণ দেওয়া হয়, তাহা তিনি দিতে জানিতেন বলিয়া মনে হয়; কারণ ঐ ভাবে প্রথম উপকরণগুলি দিতে পারিলেই শিক্ষার্থীর মন আপনা হইতেই উহাদিগকে যথাসম্বন্ধ সাজাইবার প্রয়াসে প্ররোচিত হয়। তিনি ইহা জানুন আর নাই জানুন, অন্ততঃ এই শিক্ষাবিজ্ঞান-নীতি অনুসারেই তিনি অজ্ঞাতসারে কার্য্য করিতেন বেশীর ভাগ, তিনি আজ একটী, কাল একটী—এইরূপ করিয়া ভারতীয় ধর্মগুলিই আমাদের নিকট বর্ণনা করিতেন, তাঁহার যখন যেমন খেয়াল হইত, যেন তদনুসারেই কোন একটাকে বাছিরা লইতেন। কিন্তু তিনি কেবল যে ধর্ম্মবিষয়ক উপদেশই আমাদিগকে দিতেন, তাহা নহে। কখনও ইতিহাস, কখনও লৌকিক উপকথা, কখনও বা বিভিন্ন সমাজ, জাতিবিভাগ ও লোকাচারের বহুবিধ উদ্ভট পরিণতি ও অসঙ্গতি—এ সকলেরও আলোচনা হইত। বাস্তবিক, তাঁহার শ্রোতৃবৃন্দের মনে হইত যেন ভারতমাতা শেষ এবং শ্রেষ্ঠ পুরাণ-স্বরূপ হইয়। তাঁহার শ্রীমুখাবলম্বনে স্বয়ং প্রকটিত হইতেছেন।
আর একটী বিষয়ে মনস্তত্ত্বের আর একটা গভীর রহস্য তিনি ঠিক ঠিক ধরিতে পারিয়াছিলেন। সেটী এই যে, যাহা আপাত-
৬