সকল মধুর পবিত্র বন্ধনের সূত্রপাত—এই সকলের কোনটীই সেই অভ্যাগতা মহিলার স্মৃতিপট হইতে মুছিয়া যাইবার নহে।
২৫শে মার্চ। এক সপ্তাহ পরে বুধবার অপরাহ্ণে সেই অভ্যাগতা পুনরার তথায় গমন করিলেন এবং শনিবার সন্ধ্যার ফিরিয়া আসিলেন। প্রাতে কুটীরে আসিয়া সকালের দিকে কয়েক ঘণ্টা তথায় অতিবাহিত করা, আবার বৈকালে পুনরার তথায় আগমন করা—ইহাই স্বামিজীর এই সময়ের নিয়ম ছিল। কিন্তু এইরূপ সাক্ষাতের দ্বিতীয় দিন সকালে শুক্রবার ঈশাহিগণের জ্ঞাপনোৎসবের[১] দিন—তিনি ফিরিবার সময় আমাদের তিন জনকে সঙ্গে করিয়া মঠে লইয়া গেলেন এবং সেখানে ঠাকুরঘরে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানান্তর একজনকে ব্রহ্মচর্য্যব্রতে দীক্ষিত করিলেন। সেই প্রভাতটী জীবনে সর্ব্বাপেক্ষা আনন্দময় প্রভাত! পূজাশেষে আমরা উপরতলায় গেলাম। স্বামিজী যোগী শিবের ন্যায় জটা, বিভূতি ও হাড়ের কুণ্ডল পরিধান করিয়া একঘণ্টাকাল ভারতীয় বাযন্ত্র-সংযোগে ভারতীয় গীত গাহিলেন।
তারপর সন্ধ্যার সময় গঙ্গাবক্ষে আমাদের নৌকায় বসিয়া তিনি আমাদের নিকট অকপটভাবে তাঁহার গুরুদেবের নিকট হইতে দায়রূপে প্রাপ্ত সেই মহৎকার্য্য সম্বন্ধে নানা সন্দেহ এবং ভাবনা-বিষয়ক অনেক কথা বলিলেন।
আর এক সপ্তাহ পরেই তিনি দার্জিলিং যাত্রা করিলেন এবং
- ↑ The Day of Annunciation―যেদিন দেবদূত আসিয়া ঈশা-জননী মেরিকে ‘তাঁহার গর্ভে ভগবান জন্ম লইবেন’ এই কথা জ্ঞাপন করেন।
১২