পাতা:স্বামিজীর সহিত হিমালয়ে - ভগিনী নিবেদিতা (১৯৫১).pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বামিজীর সহিত হিমালয়ে

“প্রভু মেরা অবগুণ চিত ন ধরো,
সমদর্শী হৈ নাম তুম্‌হারো।
এক লৌহ পূজামে রহত হৈ,
এক রহে ব্যাধ ঘর পরে।
পারশকে মন দ্বিধা নেহী হোয়,
দুঁহু এক কাঞ্চন করে।।
এক নদী এক নহর বহত মিলি নীর ভয়ো।
জব মিলে তব এক বরণ হোয়, গঙ্গানাম পরো।।
এক মায়া এক ব্রহ্ম কহত সুরদাস ঝগরো।
অজ্ঞানসে ভেদ হৈ, জ্ঞানী কাছে ভেদ করো।।”

 অতঃপর আচার্যদেব নিজ মুখে বলিয়াছেন, যেন তাঁহার চক্ষের সম্মুখ হইতে একটা পর্দ্দা উঠিয়া গেল এবং সবই এক বই দুই নহে—এই উপলব্ধি করিয়া তিনি তারপর আর কাহাকেও মন্দ বলিয়া দেখিতেন না। [এই মন্দির-দর্শন-সংক্রান্ত ঘটনাটি পরে জয়া অপর একজনের নিকট শ্রবণ করেন; বক্তা তখন সমবেত স্ত্রীমণ্ডলীকে ওজস্বিনী হৃদয়স্পর্শিনী ভাষায় উপদেশ দিতেছিলেন–সে ভাষা প্রেম ও কোমলতা-পূর্ণ ছিল; উহাতে সকলের প্রতি সমদৃষ্টির ভাব বিদ্যমান ছিল, তিরস্কারের চিহ্নমাত্র ছিল না।]

 যখন আমরা নৈনীতাল হইতে আলমোড়া যাত্রা করিলাম তখন বেলা পড়িয়া আসিয়াছে এবং বনপথ অতিবাহন করিতে করিতেই রাত্রি হইয়া গেল। আমরা রাস্তা ধরিয়া বরাবর চলিতে লাগিলাম; রাস্তা কোথাও খুব নীচু (তথায় জলস্রোতে খাদ পড়িয়া গিয়াছে), তারপরই আবার উঁচু; কোথাও আবার কোণা-বাহিরকরা পাহাড়

১৬