করিয়া থাকে? তবুও মাত্রাগত তারতম্য আছে, বলিতেছ? হয়ত আছে, কিন্তু শুধু মাত্রাগত।
অথবা তিনি কথাপ্রসঙ্গে সুদূর ইটালি দেশ পর্য্যন্ত গমন করিতেন। ইটালি তাঁহার নিকট “ইউরোপের সকল দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়, ধর্ম্ম ও শিল্পের একাধারে সাম্রাজ্যসংহতি ও ম্যাট্সিনির জন্মভূমি এবং উচ্চভাব, সভ্যতা ও স্বাধীনতার প্রস্তুতি!”
একদিন শিবাজী ও মহারাষ্ট্রজাতি-সম্বন্ধে এবং কিরূপে শিবাজী সাধুবেশে বর্ষব্যাপী ভ্রমণের ফলে রায়গড় গৃহস্বরূপে লাভ করেন, তৎসম্বন্ধে কথা হইল। স্বামিজী বলিলেন, “আজও পর্য্যন্ত ভারতের কর্তৃপক্ষ সন্ন্যাসীকে ভয় করেন, পাছে তাহার গৈরিক বসনের নীচে আর একজন শিবাজী লুক্কায়িত থাকে।”
অনেক সময় ‘আর্য্যগণ কাহারা এবং তাঁহাদের লক্ষণ কি?’—এই প্রশ্ন তাঁহার পূর্ণ মনোযোগ আকর্ষণ করিত। তাঁহাদের উৎপত্তি-নির্ণয় এক জটিল সমস্যা—এইরূপ মত প্রকাশ করিয়া তিনি কিরূপে সুইজারলণ্ডেও থাকিয়াও জাতিদ্বয়ের আকৃতিগত সাম্যপ্রযুক্ত যেন চীনদেশে রহিয়াছেন, এইরূপ বোধ করিয়াছিলেন, তাহার গল্প আমাদের নিকট করিতেন। নরওয়ের কতক অংশের সম্বন্ধেও এটী সত্য বলিয়া তাঁহার ধারণা ছিল। তার পর দেশভেদে আকৃতিভেদ-সম্বন্ধে কিছু কিছু তথ্য এবং সেই হুঙ্গারীদেশীয় পণ্ডিতের মর্ম্মস্পর্শী গল্প (যিনি ‘তিব্বতই হুনদিগের জন্মভূমি’ এই আবিষ্কার করিয়াছিলেন এবং দার্জিলিংএ যাঁহার সমাধি আছে)—এইরূপ নানা কথা শুনিতে পাইতাম।
এই প্রকারের প্রশ্নে শুধু স্বামিজী কেন, যাঁহাদিগকে ভারতীয়
২৫