অনেক বার কখনও বেলুড়ে অবস্থানকালে এবং কখনও তাহার পরে তিনি এই ভাবে বুদ্ধদেবের কথা বলিয়াছিলেন। একদিন তিনি আমাদিগকে, যিনি বারযোষা হইয়াও বুদ্ধকে পরিতোষপূর্ব্বক ভোজন করাইরাছিলেন, সেই রূপসী অশ্বপালীর উপাখ্যান এরূপ প্রাণস্পর্শিনী ভাষায় বর্ণনা করেন যে, রসেটী-রচিত মেরী মড্লীনের আকুল-ক্রন্দনাত্মক বিখ্যাত অর্দ্ধ সনেটটীর[১] কথা স্বতঃই আমাদের স্মৃতিপথে উদিত হইল:
“ওগো, আমায় ছাড়িয়া দাও! দেখিতেছ না, আমার প্রিয়তমের মুখকলম আমার নিকটে আকর্ষণ করিতেছে? আজ তিনি তাঁহার শ্রীচরণের জন্য আমার চুম্বন, আমার কেশপাশ, আমার অশ্রু মাগিতেছেন? ওগো, কে বলিয়া দিবে আবার কবে, কোথায় তাঁহার ঐ শোণিতলিপ্ত পদযুগল আমি আলিঙ্গন করিতে পাইব? তিনি যে আমায় ভালবাসিয়াছেন, আমায় চাহিতেছেন, আমায় ডাকিতেছেন; যাই, আমি যাই!”
কিন্তু স্বদেশপ্রেমই যে প্রত্যহ আলোচ্য বিষয় হইত, এমত নহে। কারণ একদিন প্রাতঃকালে এক সর্ব্বাপেক্ষা অধিক নূতনত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা হইয়াছিল। সেদিনকার দীর্ঘ আলোচনার বিষয় ছিল ভক্তি—প্রেমাস্পদের সহিত সম্পূর্ণ তাদাত্ম্য, যাহা চৈতন্য-
- ↑
“Oh loose me! Seest thou not my Bridegroom's face,
That draws me to him? For His feet my kiss,
My hair, my tears, He craves to-day―And oh!
What words can tell what other day and place
Shall see me clasp those blood-stained feet of His?
He needs me, calls me, loves me, let me go!”
২৮