হইতে মায়ার আবরণ অপসারিত করিয়া আসিতেছিলেন। ব্যাসদেব প্রার্থনা করিলেন, যেন তিনি এই কার্য্য হইতে বিরতা হন, নতুবা তাঁহার পুত্র কখনও ভূমিষ্ট হইবে না। মাত্র মুহূর্ত্তেকের জন্য উমা সম্মত হইলেন এবং সেই মুহূর্ত্তে শিশুর জন্ম হইল। তিনি ষোড়শবর্ষীয় নগ্ন বালকরূপে জন্মগ্রহণ করিলেন এবং পিতামাতা কাহাকেও না চিনিয়া সোজাসুজি বরাবর চলিতে লাগিলেন! ব্যাসও তাঁহার পশ্চাদ্বর্ত্তী হইলেন। তৎপরে একটি গিরিসঙ্কটান্তরালে গমন করিবামাত্র শুকের দেহ তাঁহা হইতে পৃথক্ হইয়া লীন হইয়া গেল; কারণ ইঁহার জগদতিরিক্ত কোন সত্তা ছিল না; আর যেমন তাঁহার পিতা “হা পুত্র! হা পুত্র!” বলিয়া বিলাপ করিতে করিতে অগ্রসর হইতে লাগিলেন, অমনি পর্ব্বতশ্রেণীর মধ্য হইতে ‘ওঁ ওঁ ওঁ’ প্রতিধ্বনি আসিয়া তাঁহাকে প্রত্যুত্তর প্রদান করিল। অনন্তর শুরু স্বীয় শরীর পুনগ্রহণ করিলেন এবং জ্ঞানপ্রাপ্তির নিমিত্ত পিতার নিকট আগমন করিলেন। কিন্তু ব্যাস দেখিলেন যে, পুত্রকে দিবার মত তাঁহার কোন জ্ঞানই নাই এবং যদি মিথিলারাজের তাঁহাকে দিবার মত কিছু জ্ঞান থাকে, এই ভাবিয়া তাঁহাকে সীতাদেবীর পিতা জনকের নিকট প্রেরণ করিলেন। তিন দিন তিনি রাজতোরণের বহির্দ্দেশে বসিয়া রহিলেন। কেহ তাঁহার তত্ত্ব লইল না, একবার বাক্যালাপ করিল না, বা চাহিয়াও দেখিল না। চতুর্থ দিবস তিনি সহসা মহাসমারোহে রাজসকাশে নীত হইলেন। তথাপি তাঁহার কোন বৈলক্ষণ্য লক্ষিত হইল না।
তৎপর রাজার প্রধানমন্ত্রি পদে বৃত প্রভাবশালী যোগিবর পরীক্ষার নিমিত্ত এক অনিন্দ্য-সুন্দর নারীরূপ ধারণ করিলেন—এত
৩১