বিস্তার করিয়াছে কি না। এইরূপ সমস্যা যে কেহ সাহস করিয়া উত্থাপন করিতে পারিয়াছে, ইহা শুনিয়া তিনি হাস্যসংবরণ করিতে পারিলেন না এবং আমাদিগকে খুব গৌরবের সহিত বলিলেন যে, তাঁহার পুরাতন স্কট্ল্যাণ্ডবাসী শিক্ষক হেষ্টি সাহেবের সহিত মিশা-মিশিতেই তাঁহার ঈশাহী প্রচারকগণের সহিত একমাত্র সংস্পর্শলাভ ঘটিয়াছিল। এই উষ্ণমস্তিষ্ক বৃদ্ধ অতি সামান্য ব্যয়ে জীবনযাত্রা নির্ব্বাহ করিতেন এবং নিজ গৃহকে তাঁহার বালকগণেরই গৃহ বলিয়া মনে করিতেন। তিনি সর্ব্বপ্রথমে স্বামিজীকে শ্রীরামকৃষ্ণের নিকট পাঠাইয়া দিয়াছিলেন এবং তাঁহার ভারত-প্রবাসের শেষভাগে বলিতেন, “হাঁ বাবা, তুমিই ঠিক বলিয়াছিলে! তুমিই ঠিক বলিয়াছিলে! সত্যই সব ঈশ্বর!” স্বামিজী সানন্দে বলিলেন, “আমি তাঁহার সম্পর্কে গৌরবান্বিত, কিন্তু তিনি যে আমাকে তেমন ঈশাহীভাবাপন্ন করিয়াছিলেন, একথা তোমরা বলিতে পার কি? আমার ত মনে হয় না।” প্রকৃতপক্ষে দেখা গেল যে, তিনি মাত্র ছয়মাস কাল তাঁহার কাছে পড়িয়াছিলেন; কারণ তিনি কলেজে এত অনুপস্থিত ছিলেন যে, জেনারেল এসেম্ব্লি (বর্ত্তমান স্কটিশ চার্চ্চ) কলেজের কর্তৃপক্ষ তাঁহাকে বি, এ, পরীক্ষা দিতে অনুমতি দেন নাই; যদিও তিনি উহাতে নিশ্চয়ই উত্তীর্ণ হইবেন, এইরূপ ভরসা দিয়াছিলেন।
এতদপেক্ষা লঘুতর প্রসঙ্গেও আমরা চমৎকার চমৎকার গল্প শুনিতাম। তাহার একটি এস্থলে উল্লিখিত হইল। আমেরিকায় এক নগরে স্বামিজী এক ভাড়াটিয়া বাড়ীতে বাস করিতেন। সেখানে তাঁহাকে স্বহস্তে রন্ধন করিতে হইত এবং রন্ধনকালে এক অভিনেত্রী
৩৬