এবং এক দম্পতীর সহিত তাঁহার প্রায়ই দেখা হইত। অভিনেত্রী প্রত্যহ একটি করিয়া পেরু কাবাব করিয়া খাইত এবং সেই দম্পতী লোকের ভূত নামাইয়া জীবিকানির্ব্বাহ করিত। স্বামিজী ঐ লোকটীকে তাঁহার লোক-ঠকান ব্যবসায় হইতে নিবৃত্ত করিবার জন্য ভৎসনাসহকারে বলিতেন, “তোমার এরূপ করা কখনও উচিত নহে।” অমনি স্ত্রীটি পেছনে আসিয়া দাড়াইয়া সাগ্রহে বলিত, “হাঁ, মহাশয়! আমিও ত উহাকে ঠিক ঐ কথাই বলিয়া থাকি; কারণ উনিই যত ভূত সাজিয়া মরেন, আর টাকাকড়ি যা কিছু তা মিসেস্ উইলিয়াম্স্ই লইয়া যায়।”
তিনি আমাদিগকে এক ইঞ্জিনিয়ার যুবকের গল্পও বলিয়া-ছিলেন। লোকটি লেখাপড়া জানিত। একদিন ভূতুড়ে কাণ্ডের অভিনয়কালে স্থূলকায়া মিসেস্ উইলিয়াম্স্ পর্দার আড়াল হইতে তাহার ক্ষীণকায় জননীরূপে আবির্ভূতা হইলে সে চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিল, “মা, মা, তুমি প্রেতরাজ্যে গিয়া কি মোটাই হইয়াছ!” স্বামিজী বলিলেন, “এই দৃশ্য দেখিয়া আমি মর্ম্মাহত হইলাম; কারণ আমার মনে হইল যে, লোকটার মাথা একেবারে বিগড়াইয়াছে।” কিন্তু স্বামিজী হাটবার পাত্র নহেন। তিনি সেই ইঞ্জিনিয়ার যুবককে এক রুশদেশীয় চিত্রকরের গল্প বলিলেন। চিত্রকর এক কৃষকের মৃত পিতার আলেখ্য অঙ্কিত করিতে আদিষ্ট
হইয়াছিলেন এবং আকৃতির পরিচয়স্বরূপ এইমাত্র শুনিয়াছিলেন, “তোমায় ত, বাপু, কতবার বলিলাম যে তাঁর নাকের উপর একটী আঁচিল ছিল!” অবশেষে চিত্রকর এক সাধারণ কৃষকের চিত্র অঙ্কিত করিয়া ও তাহার নাসিকাদেশে এক বৃহৎ আঁচিল বসাইয়া
৩৭