উপলব্ধি এবং অপর যাহা কিছু তিনি এই কয়দিনে লাভ করিয়াছিলেন, তাহাই এখনকার পক্ষে যথেষ্ট হইয়াছিল এবং আমরা সেভিয়ার সাহেবের উদ্যানে ইউকালিপ্টাস্গুলির তলে এবং চারা গোলাপ গাছগুলির মধ্যে তাঁহার কৃতজ্ঞতাপূর্ণ শান্ত মুখশ্রী দেখিয়া আসিলাম।
৩০শে মে হইতে ২রা জুন। পরবর্তী সোমবার তিনি যাঁহাদের আতিথ্য গ্রহণ করিয়াছিলেন, সেই সেভিয়ার দম্পতির সহিত তিনি এক সপ্তাহের জন্য কোন একটী স্থান দেখিবার নিমিত্ত যাত্রা করিলেন এবং আমরা অলমোড়ার থাকিয়া অধ্যয়ন, অঙ্কন ও গাছপালা সংগ্রহ করিয়া উদ্ভিদ্বিদ্যার চর্চা করিতে লাগিলাম। সেই সপ্তাহের একদিন সন্ধ্যায় আমরা মধ্যাহ্ন ভোজনের পর বসিয়া কথাবার্তা কহিতেছিলাম। কি জানি কেন আমাদের চিন্তা ‘ইন মেমোরিয়াম্’[১] লইরা ব্যাপৃত ছিল এবং আমাদের মধ্যে একজন সর্ব্বসমক্ষে পাঠ করিলেন:
“তথাপি যতদিন শ্রবণশক্তি থাকিবে, ততদিন এই কর্ণদ্বয়ে একটী ঘণ্টা ধীরমন্থরভাবে ক্রমাগত বাজিতে থাকিবে এবং জানাইয়া দিবে যে, যে প্রিয়তম আত্মা মনুষ্যশরীরে ছিল, তাহা আর মরজগতে নাই। আমি এখনও উহা শুনিতেছি, অবিশ্রান্ত শুনিতেছি, উহা অবিরত গতাসুর উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা জানাইতেছে;
- ↑ In Memorium―ইংরেজ কবি টেনিসন-প্রণীত প্রসিদ্ধ শোকগীতিকাব্য। তাঁহার প্রিয় বন্ধু আর্থার হেনরী হালামের মৃত্যুতে রচিত।
৪০