বলিতেছে, তোমার মঙ্গল হউক! মঙ্গল হউক! বিদায়! চিরদিনের মত বিদায়!”
সেইক্ষণেই সুদূর দক্ষিণে আমাদেরই একজন পরমাত্মীয় আমাদের এই ক্ষুদ্র পরিদৃশ্যমান জগদ্রূপ মন্দির হইতে কোন সূক্ষ্মতর জ্যোতির রাজ্যে প্রয়াণ করিতেছিলেন। এ সংসারের পরপারে সেই রাজ্যে ভগবৎসান্নিধ্য স্পষ্টতর হওয়াই সম্ভবপর এবং হয়ত সেই জন্যই সেখানে প্রকাশও উজ্জ্বলতর। কিন্তু আমরা এই দুঃসংবাদ এখন পর্য্যন্ত পাই নাই। আরও একদিবস আমাদের অজানিত কোন কিছুর মসিময়ী ছায়া আমাদিগকে আচ্ছাদিত করিয়া রাখিয়াছিল। তৎপরে শুক্রবার প্রাতঃকালে আমরা বসিয়া কাজ কর্ম্ম করিতেছিলাম, এমন সময়ে এক ‘তার’ আসিল। তারটী একদিন দেরীতে আসিয়াছিল। তাহাতে লেখা ছিল—‘কল্য রাত্রে উৎকণমন্দে গুড্উইনের দেহত্যাগ হইয়াছে।’ প্রকাশ পাইল যে, সে অঞ্চলে যে সান্নিপাতিকের মহামারীর সূত্রপাত হইতেছিল, আমাদের বন্ধু তাহারই করালগ্রাসে পতিত হইয়াছেন এবং দেখা গেল যে, তিনি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্য্যন্ত স্বামিজীর কথা কহিয়াছিলেন এবং তিনি যেন পার্শ্বে আসিয়া দাঁড়ান, সাগ্রহচিত্তে এইরূপ আকাঙ্ক্ষা করিয়াছিলেন।
৫ই জুন। রবিরার সন্ধ্যার সময় স্বামিজী স্বীয় আবাসে ফিরিয়া আসিলেন। আমাদের ফটক ও উঠান হইয়া তাঁহার রাস্তা গিয়াছিল। তিনি সেই রাস্তা ধরিয়া আসিলেন এবং সেই প্রাঙ্গণে আমরা মুহূর্ত্তেকের জন্য বসিয়া তাঁহার সহিত কথা কহিলাম। তিনি আমাদের দুঃসংবাদের বিষয় অবগত ছিলেন না, কিন্তু ইতঃ-
৪১