বাস্তবতাশূন্য। কবি, রাখাল, শক্তিশালী শাসক, যোদ্ধা এবং ঋষি―হয়ত এই সব ভাবগুলি একত্রীকৃত হইয়া গীতাহস্তে এক সুন্দরমূর্ত্তিরূপে পরিণত হইয়াছিল।”
কিন্তু আজ শ্রীকৃষ্ণ সকল অবতারগণের মধ্যে আদর্শস্থানীয় বলিয়া বর্ণিত হইলেন এবং তারপরই ভগবান সারথিবেশে অশ্বগুলিকে সংযত করিয়া রণক্ষেত্রের চতুর্দ্দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন এবং নিমেষে ব্যুহসংস্থান লক্ষ্য করিয়া লইয়া শিষ্যস্থানীয় রাজপুত্রকে গীতার গভীর আধ্যাত্মিক সত্যগুলি শুনাইতে আরম্ভ করিলেন—এই মর্ম্মের এ অদ্ভুত চিত্র অঙ্কিত হইল।
বাস্তবিকই এই গ্রীষ্মঋতুতে উত্তরভারতের এক অংশ হইতে অংশান্তরে গমনকালে আমরা এই কৃষ্ণলীলা লোকের উপর কিরূপ আধিপত্য বিস্তার করিয়াছে, তাহা লক্ষ্য করিবার অনেক সুযোগ পাইয়াছিলাম। রাস্তার ধারে গ্রামগুলিতে নর্ত্তকগণ নৃত্যকালে যে সকল গান গাহিত, তাহা সব রাধাকৃষ্ণ-বিষয়ক। এতদ্ভিন্ন স্বামিজী একটা কথা বারংবার বলিতেন (অবশ্য ইহার সম্বন্ধে আমাদের কোন মতামতই ছিল না) যে, ভারতবর্ষীয় বৈষ্ণবগণ কল্পনামূলক গীতিকাব্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করিয়া গিয়াছেন।
তবে কি গোপীগণের সেই অপূর্ব্ব পুরাতন কাহিনী সত্য সত্যই কোন পশুপালকগণের মধ্যে প্রচলিত পুজার অংশবিশেষ, যাহা অপেক্ষাকৃত আধুনিক কোন প্রথার অঙ্গীভূত হইয়া এই ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম আলোকেও নিজ নাট্যোচিত কোমলতা ও আনন্দটুকু বজায় রাখিয়া অব্যাহতভাবে বাঁচিয়া রহিয়াছে?
কিন্তু এই কয় দিবস যাবৎ স্বামিজী কোথাও গিয়া একাকী বাস
৪৭