পাতা:স্বামিজীর সহিত হিমালয়ে - ভগিনী নিবেদিতা (১৯৫১).pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বামিজীর সহিত হিমালয়ে

করিবার জন্য ছট্‌ ফট্‌, করিতেছিলেন। যে স্থানে তিনি গুড্‌উইনের মৃত্যুসংবাদ পাইয়াছেন, সেই স্থান তাঁহার নিকট অসহ্য হইয়া উঠিয়াছিল এবং পত্র-আদান-প্রদানে সেই ক্ষত ক্রমাগত নূতন হইয়া উঠিতেছিল। একদিন তিনি বলিয়াছিলেন যে, শ্রীরামকৃষ্ণ বাহির হইতে কেবল ভক্তিময় বলিয়া মনে হইলেও প্রকৃতপক্ষে ভিতরে ভিতরে পূর্ণ জ্ঞানময় ছিলেন, কিন্তু তিনি (স্বামিজী) নিজে বাহ্যতঃ কেবল জ্ঞানময় বলিয়া মনে হইলেও ভিতরে ভিতরে ভক্তিতে পূর্ণ এবং সেইজন্য তিনি কখনও কখনও স্ত্রীলোকের ন্যায় দুর্ব্বল হইয়া পড়িতেন।

 একদিন তিনি কোন একজনের লেখার কয়েকটী দোষযুক্ত পংক্তি হইয়া গেলেন এবং উহাকে একটী ক্ষুদ্র কবিতারূপে ফিরাইয়া আনিলেন। সেটা স্বামিহীনা গুড্‌উইন্‌-জননীকে তাঁহার পুত্রের স্মরণে স্বামিজী-প্রদত্ত চিহ্নস্বরূপে প্রেরিত হইল।

তাহার শক্তিলাভ হউক![]

 “হে আত্মন্, তোমার তারকা-বিকীর্ণ পথে ছুটিয়া চল। হে আনন্দস্বরূপ, সেই লোকে দ্রুত গমন কর যথায় চিন্তাস্রোত সদাই স্বাধীনভাবে বহিয়া থাকে, যথায় মানবের দৃষ্টি কাল ও ইন্দ্রিয়গ্রাম দ্বারা আর অবরুদ্ধ হয় না। শাশ্বত শান্তি ও আশীর্ব্বাদ তোমার উপর বর্ষিত হউক।

 “তোমার সেবা প্রকৃত সেবা ছিল, তোমার আত্মত্যাগযজ্ঞ পূর্ণ হইয়াছে। এখন অতীন্দ্রিয় আনন্দঘন তোমার আবাসস্বরূপ হউক,


  1. ‘বীরবাণী’র Requiescat in Peace-শীর্ষক কবিতা দ্রষ্টব্য।

৪৮