দেশকালের ব্যবধান যাহা লোপ করিয়া দেয়, সেই মধুর স্মৃতি বেদীর উপর স্থাপিত গোলাপস্তবকের মত জগতে তোমার স্থান পূর্ণ করুক।
“তোমার বন্ধনসকল টুটিয়াছে, পরম নিবৃত্তিলাভ করার আর তোমার প্রাপ্তব্য কিছুই নাই; যাহা জন্ম ও মৃত্যুরূপে আসিয়া থাকে, সেই বস্তুর সহিত তুমি তাদাত্ম্য প্রাপ্ত হইয়াছ। তুমি চিরকাল অপরকে সাহায্য করিয়াই আসিয়াছ; জগতে তোমার প্রতি কার্য্যই নিঃস্বার্থ ছিল এখন ঐ পথেই অগ্রসর হও, এই দ্বন্দ্বপূর্ণ জগৎকে চিরকাল প্রেমদানে সাহায্য করিতে থাক।”
তৎপরে আসল কবিতাটীর কিছুই রহিল না বলিয়া এবং যাঁহার লেখা সংশোধিত হইল (উক্ত লেখিকার পংক্তিগুলি ত্রিপদী ছন্দে ছিল) তিনি ক্ষুণ্ন হইবেন এইরূপ আশঙ্কা করিয়া, তিনি আগ্রহসহকারে অনেকক্ষণ ধরিয়া কেবল ছন্দ ও মাত্রা মিলাইয়া কথা গাঁথা অপেক্ষা কবিত্বপূর্ণভাবে অনুভব করা কত বড় জিনিস, তাহাই বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করিতে লাগিলেন। কোন সহানুভূতি বা মত তাঁহার চক্ষে ভাবপ্রবণ বা অযথার্থ বোধ হইলে তিনি তাহার প্রতি খুব কঠোর হইতে পারিতেন, কিন্তু কেহ চেষ্টা করিয়া অকৃতকার্য্য হইলে আচার্য্যদেব সর্ব্বদা আগ্রহ এবং কোমলতার সহিত তাঁহার পক্ষ সমর্থন করিতেন।
আর পুত্রহারা জননীও কত আনন্দের সহিত তাঁহার কবিতার প্রাপ্তিস্বীকার করিয়াছিলেন এবং শোকভারাক্রান্তা হইলেও সুদূর প্রবাসে পরলোকগত স্বীয় পুত্রের উপর স্বামিজী যে সৎ প্রভাব
৪৯