বিস্তার করিয়াছিলেন, তজ্জন্য তাঁহাকে ধন্যবাদ দিয়া পত্র লিখিয়াছিলেন।
১০ই জুন। আলমোড়া-বাসের শেষদিন অপরাহ্ণে আমরা শ্রীরামকৃষ্ণের সেই প্রাণঘাতিনী পীড়ার গল্প শুনিলাম। ডাক্তার শ্রীযুক্ত মহেন্দ্রলাল সরকার আহূত হইয়াছিলেন। তিনি আসিয়া রোগীকে রোহিণী নামক ব্যাধি (Cancer) বলিয়া নির্দ্দেশ করেন এবং ফিরিবার পূর্ব্বে ইহা যে সংক্রামক রোগ, তাহা শিষ্যগণকে বহুবার বুঝাইয়া দেন। অর্দ্ধ ঘণ্টা পরে ‘নরেন্দ্র’ (তখন তাঁহার ঐ নাম ছিল) আসিলেন এবং দেখিলেন, উহারা একত্র হইয়া রোগের বিপজ্জনকত্বের আলোচনা করিতেছেন। তিনি ডাক্তার কি বলিয়া গিয়াছেন নিবিষ্টচিত্তে শুনিলেন এবং তৎপরে মেজের দিকে তাকাইয়া পায়ের গোড়ায় শ্রীরামকৃষ্ণের পীতাবশিষ্ট পায়সের বাটিটা দেখিতে পাইলেন। গলদেশের খাদ্যবহা নলীটীর সঙ্কোচবশতঃ শ্রীরামকৃষ্ণ উক্ত পায়স গলাধঃকরণ করিতে অনেকবার ব্যর্থ চেষ্টা করিয়াছিলেন, সুতরাং উহা তাঁহার মুখ হইতে বার বার বাহির হইয়া পড়িয়াছিল এবং ঐ দুঃসাধ্য রোগের বীজাণুপূর্ণ শ্লেষ্মা ও পুজ নিশ্চয়ই তাহার সহিত ছিল। ‘নরেন্দ্র’ বাটিটা উঠাইয়া লইয়া সর্ব্বসমক্ষে উহা নিঃশেষে পান করিয়া ফেলিলেন। ক্যান্সারের সংক্রামকতার কথা আর কখনও শিষ্যগণের মধ্যে উত্থাপিত হয় নাই।
৫০