চাহে তো পার করো॥
এক লোহা পূজা মে রখত
এক রহত ব্যাধ ঘর পর,
পরশ কে মন দ্বিধা নহী হৈ,
দুহুঁ এক কাঞ্চন করো॥
ইক নদীয়া ইক নার কহাবত মৈলী নীর ভরো।
জব্, মিলি দোনো এক বরণ ভয়ো সুরসুরি নাম পর;
ইক মায়া ইক ব্রহ্ম কহাবত সুরদাস ঝগেরো।
অজ্ঞানসে ভেদ হোবে, জ্ঞানী কাহে ভেদ করো॥
সম্ভবতঃ সেই দিন কি আর এক দিন তিনি আমাদের নিকট কাশীর সেই বৃদ্ধ সন্ন্যাসীর কথা বলিলেন, যিনি তাঁহাকে একপাল বানর কর্তৃক উত্যক্ত দেখিয়া এবং তিনি পশ্চাদ্পদ হইয়া ফিরিয়া পলাইতে পারেন এই আশঙ্কা করিয়া উচ্চৈঃস্বরে বলিয়াছিলেন, “সর্ব্বদা জানোয়ারগুলির সম্মুখীন হইও।”
বড় আনন্দেই আমরা উক্ত কয়দিন পথ চলিয়াছিলাম। প্রতিদিনই চটিতে পৌঁছিলাম বলিয়া দুঃখবোধ হইত। এই সময়ে রেলযোগে তরাই নামক সেই ম্যালেরিয়াগ্রস্ত ভূখণ্ড অতিক্রম করিতে আমাদের একটা সারা বিকাল লাগিয়াছিল এবং স্বামিজী আমাদের স্মরণ করাইয়া দিলেন যে, ইহাই বুদ্ধের জন্মভূমি। পার্ব্বত্য পথ দিয়া অবতরণকালে আমরা দেখিলাম যে, সমতলবাসিগণ দলে দলে সপরিবারে ও সমস্ত জিনিষ পত্র লইয়া বর্ষার প্রারম্ভে যে জ্বরের প্রাদুর্ভাব হইবে, তাহার আক্রমণ হইতে নিষ্কৃতি পাইবার জন্য উচ্চতর পাহাড়-অঞ্চলে
৫৪